১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১ মাঘ, ১৪৩১ | ১৪ রজব, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার   ●  হলদিয়া বিএনপি উত্তর শাখার সাংগঠনিক পদে প্রার্থীতা করবেন মোহাম্মদ হেলাল    ●  উখিয়ায় বাস চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত   ●  রামুতে ‘প্রভাবমুক্ত’ উচ্ছেদ অভিযান, গুড়িয়ে দিল অবৈধ স্থাপনা   ●  এবার টেকনাফে সিএনজি থেকে ৭ জনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা 

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এসপি মাসুদ

স্থানীয়রা রোহিঙ্গা যুবতীদের বিয়ের চেষ্টা করছে

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের যুবতীদের বিয়ে করার চেষ্টা করছে। এজন্য যেনতেন ভাবে রোহিঙ্গারা ডকুমেন্টস সৃজনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন তথ্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এ তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য বলেন-জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্ম# নিবন্ধন সনদ দিয়ে, নাগরিকত্ব সনদ দিয়ে, প্রত্যয়নপত্র দিয়ে, পার্সপোটের ব্যবস্থা করে দিয়ে পশ্রয় দিতে পারবেন না। কোন রোহিঙ্গা শরনার্থীকে স্থানীয়রা বা রোহিঙ্গা শরনার্থীরা স্থানীয়দের বিয়েশাদী করতে পারবেনা। এ বিষয়ে কঠোর বিধি নিষেধ রয়েছে। রোহিঙ্গারাও এ সুযোগে স্থানীয়দের বিয়ে করে বাংলাদেশী নাগরিক বনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা স্থানীয়দের সাথে মিশে গিয়ে সহজে এদেশে স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের সাথে এ ধরনের বিয়ে শাদী যাতে না হয়, সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সকলকে কঠোর আইনের কথা জানিয়ে দিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল আচরণ ও আরো সংযত হয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ে সতর্কতার সাথে বক্তব্য রাখতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিডিএলজি শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত আরআরআরসি মোঃ শামশুদ্দোহা (উপসচিব), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, ডিজিএফআইয়ের লেঃ কর্নেল রুবাইয়াত, এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিপিএম-বার, উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল মনসুর সহ উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।