ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িকতা হবে শেষ এ শ্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজার শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। ২০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় শহীদ দৌলত ময়দানে বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মন্নান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল তা বাধাগ্রস্ত করতেই বাঙ্গালীর শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক’কে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এত ষড়যন্ত্রের পরও বাঙ্গালী জাতি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
বিকাল ৪টায় বিজয় র্যালী শেষে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।
এতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন।
এতে প্রধান অতিথি’র বলেন যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তারা আর্ন্তজাতিকভাবে অপরাধী হিসাবে স্বীকৃত। যারা স্বাধীনতা বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তাদের মুখোশ খুলেছে স্বাধীনতার পর। এ চক্রটি স্বাধীনতার মুলমন্ত্রকে স্থবির করতে জাতির জনক’কে হত্যা করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে একটি কলংকজনক অধ্যায়ের সুচনা করেছিল। জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দুতাবাসে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
এই ষড়যন্ত্রকারীরাই স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে। পরবর্তীতে তার দোসররা মতিউর রহমান নিজামী ও মুজাহিদের মত কু-খ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চেতনাকে পুরোপুরি ধংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে এতেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে এ চক্রটি। তবে যেভাবে বাঙ্গালী জাতি জেগে উঠেছে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হবে না। উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী লোকেরা।
অন্যান্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন বিজয় মেলার উদ্বোধক বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা জাসদ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মাসু ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়।
বিজয় মেলা উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, রেজাউল করিম, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদ, এডঃ তাপস রক্ষিত, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, বদরুল হায়দার মিল্কি,শম্ভুনাথ চক্রবর্তী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আজিম কনক, পৌর যুবলীগের আহবায়ক শোয়েব ইফতেকার, এবি ছিদ্দিক খোকন, হাসান মেহদী রহমান, রিদুওয়ান আলী, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাঈল সাজ্জাত, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আসাদ উল্লাহ সায়েম, মোরশেদ হোসেন তামিম ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা মহি উদ্দিন।
স্মৃতিচারণের আগে কবিতা আবৃত্তি করেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন। পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।