২৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উত্তাল কক্সবাজার সমুদ্র   ●  কক্সবাজারে আদালত ঘেরাও করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা   ●  আওয়ামী দোসরদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা   ●  জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু সালেহ ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রধান   ●  উখিয়ায় পাহাড় ধ্বসে যুবকের মৃত্যু   ●  আকাশে উড়লো ফানুস, বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ‘কল্প জাহাজ’   ●  সম্পত্তির লোভে চাচার ষড়যন্ত্রে ভাতিজা অপহরণ, তিনদিন পর উদ্ধার   ●  টেকনাফে ছাত্রদল নেতা ইয়াবাসহ আটক!   ●  ৫দিনের রিমান্ডে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর   ●  সেন্টমার্টিন থেকে ফিরার পথে স্পিডবোট ডুবি, নিখোঁজ ১

হত্যা মামলার আসামি আরও দুই রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি আরও দুই রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাদিমুরা এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

এ নিয়ে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ ৫ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলো।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল হতে দেশীয় অস্ত্র-কার্তুজ ও খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান এ চালায়। উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিস সংলগ্ন পেছনের পাহাড়ে ফারুক হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি অবস্থানের খবর তারা জানতে পারেন।
পুলিশ জানায়, এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ২৮ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গা ও আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তারা মারা যায়।
ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি করে আসামিদের ফেলে যাওয়া দুটি এলজি, ৭ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয় ।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর নিহতদের শনাক্ত করে। তারা হলেন মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার বুচিদং হাসসুরাতার জমির আহমদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) ও একই থানার পুইমালীর সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহমদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭) । মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ গণমাধ্যমকে জানান, পলাতক আসামি আটক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে। অস্ত্র ও কার্তুজসহ আটক দুই রোহিঙ্গা ডাকাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।
এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।