নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার ২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। যিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের গত ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪২ হাজার ৯১৩ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করার সময় ২০১৮ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ২০৬ টাকার। ৫ বছর পরে ২০২৩ সালে সেই সম্পদের পরিমাণ হয়েছে ৬ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৯ টাকার। এই ৫ বছরে স্ত্রীর থাকা ৩০ ভরি স্বর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে। তাঁর স্ত্রী বা তাঁর আয়ের উপর নির্ভরশীল কারও নামে নেই কোন সম্পদ।
২০১৮ সালেরর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন বরাবরে এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে মিলেছে এসব তথ্য।
প্রাপ্ত ২ টি হলফনামায় দেখা গেছে, বর্তমানে এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের বছরে আয় ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৩৫২ টাকা। যেখানে কৃষিখাত থেকে বছরে ২৬ হাজার ৬৪০ টাকা, ব্যবসা থেকে বছরে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, শেয়ার থেকে বছরে ১০ লাখ ৯১ হাজার ২৩ টাকা, অন্যান্য পেশাগত খাত থেকে বছরে ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৯ টাকা আয় করেন।
৫ বছর আগে ২০১৮ সালে আশেক উল্লাহ রফিকের বছরে আয় ছিল ৬ লাখ ২১ হাজার ২৯৮ টাকা। ওই সময় তিনি কৃষি খাত তেকে ৪২ হাজার ৬৪০ টাকা, ব্যবসায় থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আর শেয়ার থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৩৮ টাকা আয় করতেন।
বর্তমানে আশেক উল্লাহ রফিকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ হয় ৫ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৫ টাকা।স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। ৫ বছর আগে ছিল ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০৪ টাকা। স্ত্রীর স্বর্ণও ছিল একই। বর্তমানে তাঁর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ কৃষি জমি ১৬.১৩৮২ একর, অকৃষি জমি ৩.১৯ একর, দালান ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যাংক ঋণ রয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ টাকার। ৫ বছর আগে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল কৃষি জমি ১৪.৩৩ একর, অকৃষি জমি একই, দালান ৯০ হাজার ৬০ টাকার।
এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আমি মুলত একজন ব্যবসায়ী। স্বচ্ছ জীবন-যাপন এবং বৈধ আয়ে বিশ্বাসী। দাখিল করা হলফনামায় তা পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।