নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গত ২১ আগষ্ট সংঘটিত নারকীয় ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
সোমবার (২৪ আগষ্ট) সকাল ১০টায় সিসিএনএফর টিম চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নের দক্ষিণ পহঁরচাদা এলাকায় পৌছান। কথা বলেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে।
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব, গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) এর কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। মা-মেয়েসহ পাঁচ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আইনগত সহায়তাকারী আইনজীবীদের সাথে সিসিএনএফ এর সদস্যরা সাক্ষাত করেন।
বিশেষ করে চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট উমর ফারুখের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি ওইদিন জামিন পাওয়া মা-মেয়েসহ তিনজনের বিষয়টি তোলে ধরেন।
এডভোকেট ওমর ফারুখ সিসিএনএফ এর সদস্যদের জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে ভিকটিমদেরকে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তার পাশাপাশি তারা যদি সম্মানহানী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনী আশ্রয় নিতে চান, তাতেও তাদের সহযোগিতা থাকবে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ হতে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন। একইভাবে উপজেলা প্রশাসন ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত দল প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
অপরদিকে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে হারবাং এর ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা নিয়েছেন। মামলাটি চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক রাজীব কুমার দেব। আলোচিত এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গঠিত টিমটি সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ইউপি চেয়ারম্যনসহ সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সিসিএনএফ এর কো-চেয়ার রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন হতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
আশা করছি তাদের তদন্তে আসল রহস্যটি বের হয়ে আসবে।
তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেন।
অপর কো-চেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, কে অপরাধী আর কে অপরাধী নয় সেটা ঠিক করবে বিজ্ঞ আদালত। বিচারের আগেই যদি কেউ আইন নিজের হাতে তোলে নেয় তাহলে সেইটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক বিচার দাবী করেন।
মুক্তির প্রধান নির্বাহী এবং সিসিএনএফ এর কো-চেয়ার বিমল চন্দ্র দে বলেন, এই ধরনের অমানবিক ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। চকরিয়া হারবাং এর বিষয়টি মানবাধিকার লংঘতি হয়েছে চরমভাবে।
সিসিএনএফ সদস্য এবং অগ্রযাত্রার চেয়ারম্যান নিলীমা আক্তার চৌধুরী বলেন, পুরো বিষয়টি একটি অমানবিক এবং লোমহর্ষক ঘটনা।
তিনি বলেন, আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি সাধারন জনগনের সাথে কথা বলেছি তারা নিজেরা ও স্বীকার করেছেন কোমরে রশি বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া সেইটা কখনও সভ্য সমাজের পক্ষে সম্ভব নয়।
এই ধরনের ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেন নিলীমা আক্তার চৌধুরী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।