দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস এবং হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মোজাফ্ফর আহমদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকালে করেছেন, ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
এর আগে ২৪ এপ্রিল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ১ মে রবিবার রাতে ল্যাব এইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এদিকে মরহুমের কনিষ্ঠ ভাই ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার শিক্ষক ড. মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় পটিয়া আল জামেয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই দাফন করা হবে।
মরহুমের বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী ও ৯ পুত্র সন্তান রয়েছেন। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় শিক্ষকতা করে আসছিলেন এবং প্রায় ৩০ বছর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। মরহুম মোজাফ্ফর আহমদকে অনেকেই ‘গাজী হুজুর’ নামেই চিনেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভূমিকা পালন করায় নির্যাতিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মুফতি মোজাফ্ফর আহমদ মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউপি’র নতুন বাজারস্থ মিয়াজি পাড়ার মরহুম নজির আহমদের পুত্র ও কক্সবাজার জেলার প্রবীণ মুরুব্বি। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত কক্সবাজার সংগ্রাম কমিটির ট্রেজারার এডভোকেট মওদুদ আহমদের ছোট ভাই। এছাড়া কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ বাকের, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, বিশিষ্ট ঠিকাদার মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ ও এড. মোহাম্মদ ফরহাদের চাচা এবং কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর সমাজসেবক আজিজুর রহমানের মামা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।