জেলা শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের হেলে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ ও বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠক করে এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে ভাঙার কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের আশপাশের মৎস্য আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাঁকখালী নদীতেও নৌযান চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে মঙ্গলবার সকাল ও দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের আশপাশে অনেককেই মৎস্য আনা-নেওয়া করতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে কয়েকটি বিকট আওয়াজে ভবনটি বাঁকখালী নদীর দিকে হেলে পড়ে। এতে ভবনটির নিচের পিলারসমূহ সরে গেছে ও নিচের ফ্লোরের অধিকাংশ অংশ দেবে গেছে। তবে ঘটনাটি রাতে ঘটায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃক কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের এ ভবনটি ১৯৮৮ সালে নির্মাণ করেছিল। এ ভবনটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের সকল প্রকার মাছ ধরার ট্রলার মাছ খালাস করত। ২০১২ সালে বর্ষায় নদীর স্রোতের আঘাতে ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। তখন থেকে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তার সকল কার্যক্রম চলে আসছিল। পরে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।