টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম মহোৎসব উদযাপন পরিষদ ২০১৭ এর উদ্যোগে পঞ্চদোল যাত্রা এবং বিশ্বশান্তি কামনায় সার্বজনীন গীতাপাঠ প্রতিযোগীতা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, মহতী ধর্মসভা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার ভোরে নাম সংকীর্তন সহকারে নগর পরিক্রমা ও মহানামযজ্ঞের পুণ্যাহুতির মাধ্যমে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এর আগে শুক্রবার অহোরাত্র মহানামযজ্ঞ, শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাজ ভোগ, আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদন, গৌর লীলা ও শ্রীকৃষ্ণলীলা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার হোয়াইক্যংয়ের রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম প্রাঙ্গনে আয়োজিত ধর্মসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ট্রাষ্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও বাগিশিক কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এসকে আচার্য। প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল। অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন তাঁর বক্তব্যে গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠা ও মন্দির ভিত্তিক বিদ্যালয় চালুর মাধ্যমে হোয়াইক্যংয়ের সনাতন ধর্মাবম্বী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান। তিনি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রমের নিবন্ধন ও ভবন নির্মানে আর্থিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশিষ কুমার বেদাজ্ঞ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিবু ভট্টাচার্য্য, হোয়াইক্যং রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সভাপতি মনি শংকর নাথ, টেকনাফ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা: অমর কান্তি দাশ, চকরিয়া উপজেলা গীতা শিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন কান্তি দাশ, কক্সবাজার সার্বজনীন গীতা স্কুল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মল্লিক বাবু, সমাজ সেবক ও আইনজীবী সহকারী স্বপন ভট্টাচার্য্য। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা গীতা শিক্ষা কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃদুল মল্লিক। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি রাজন আচার্য্য।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।