টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতাধীন ২০১৩-২০১৪ সালের সামাজিক বনায়নের তালিকা প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ আনোয়ারী ও ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ তালিকায় প্রকৃত ভুমিহীনদের নাম অর্ন্তভুক্তি না করে অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্তির করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দাবী উঠেছে, চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রদত্ব তালিকা পুনঃ বিবেচনা করে নতুনভাবে তালিকা প্রনয়ন সহ প্রকৃত ভুমিহীন ও বাগানের পার্শ্বে থাকা লোকজনদের তালিকায় অর্ন্তভুক্তি করার। অন্যতায় সরকারের সুদুর প্রসারী উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত কিছু দিন পূর্ব থেকে কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতাধীন ২০১৩-২০১৪ ইং সালের সামাজিক বনায়নের অংশীদার নিয়োগ এর কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ আনোয়ারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ তালিকা প্রনয়নের দায়িত্ব পেয়ে নিজেদের ইচ্ছামত এবং পছন্দের ৫০ জন লোকের নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করে। দৈংগ্যাকাটা জোয়ারী খোলা গ্রামের বাসিন্দা ও হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতাধীন ভিলেজার হাজী নুরুল ইসলাম (৫০), কাশেম আলী হেডম্যান (৭৫), আকতার কামাল (৩০), আব্দুর রহমান (৫৫), যাত্রা মোহন বড়–য়া (৬০), আবুল কালাম (৩৫) হাবিবুর রহমান (৬০) সহ অসংখ্য লোক অভিযোগ করে জানান, ২০১৩-২০১৪ সালের সামাজিক বনায়নের প্লটের জন্য বাচাইকৃত জমির পাশে তাহাদের ভিলেজারী সূত্রে প্রাপ্ত জমি ও বহু বছর পূর্বে আবাদ করা জমিতে বসত ঘর নির্মান সহ বিভিন্ন ফলজ, বনজ গাছের বাগান করে আসছেন। নিয়ম রয়েছে বাগানের পাশে যাদের বসত ঘর আছে তাহাদের বনায়নের তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তি করার। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ আনোয়ারী ও দিল মোহাম্মদ মেম্বার নিয়ম উপেক্ষা করে তাহাদের পছন্দের লোকজন তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করেছে। চেয়ারম্যান আনোয়ারী জামায়াত সমর্থিত লোক হওয়ায় এবং বৌদ্ধ বিহার হামলা মামলার আসামী থাকায় প্লটের তালিকায় বেশির ভাগ জামায়াত সমর্থিত লোকজনদের নাম অর্ন্তভূক্তি করে ক্ষোভের বশে ওই এলাকায় বসবাসরত বড়–য়া সম্প্রদায়ের লোকজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রদত্ব তালিকায় একই পরিবারের মোঃ মতলব (২৮) ও তার স্ত্রী কালা পুতুনী (২২) কে সদস্য করা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভুত। স্থানীয়রা এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করে কাজ না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে দৈংগ্যাকাটা জোয়ারীখোলা গ্রামের আবুল কাশেম হেডম্যানের ছেলে হাজী নুরুল ইসলাম গত ২২ মার্চ বাদী হয়ে প্রধান বন সংরক্ষক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সহ উধর্বতন বন কর্মকর্তাদের ডাক যোগে লিখিত অভিযোগ প্রেরন করেছেন। হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রদত্ব তালিকা যাচাই বাচাই করা হবে। এদিকে চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ আনোয়ারী এবং স্থানীয় মেম্বার দিল মোহাম্মদ তাহাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রদত্ব মনগড়া তালিকা পুনঃ বিবেচনা করে নতুন তালিকা প্রনয়নের জন্য উধর্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।