টেকনাফের হ্নীলা পানখালীতে দু‘পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই ছাত্র ও মহিলাসহ উভয় পক্ষের ৩জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় ৩টি বসত-বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়-গত ১১জানুয়ারী সন্ধ্যা পৌনে ৭টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম পানখালী এলাকায় দু‘পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কবির আহমদের পুত্র জহির আহমদের স্ত্রী নুর জাহান (৩৩) ও পানখালী প্রাইমারী স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সিফাত (১২) প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত হয়। এই ঘটনার পর পরই প্রতিপক্ষের হামলায় অভিযুক্ত পক্ষের একই এলাকার আবুল কালাম প্রকাশ কালুর পুত্র সাইফুল ইসলাম(১৬)গুরুতর আহত এবং রক্তাক্ত হয়।এতে সাইফুল পক্ষের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে আহত নুর জাহান,সেলিনা ও ছালেহার বসত-বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এরপর উপস্থিত লোকজন উভয়পক্ষকে শান্ত করে গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।এই ব্যাপারে পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এই ব্যাপারে আহত নুর জাহানের স্বামী জহির আহমদ বলেন-হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়–য়া আমার মেয়ে জেসিয়া ইসলাম রুপাকে প্রায় সময় পথে-ঘাটে উত্যক্ত করে আসত। একই নিয়মের সুত্রধরে উক্ত সাইফুল আমার বাড়ির সামনে এলে আমার স্ত্রী নুর জাহান আমার মেয়েকে কেন বার বার উত্যক্ত করছ জানতে চাইলে উল্টো গালমন্দ করে হৈ ছৈ শুরু করে সাঙ্গ-পাঙ্গদের জড়ো করে। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক বাড়ির সীমানার ভেতরে ঢুকে ১০/১২জন মিলে আমার স্ত্রী নুর জাহান ও প্রাইমারী স্কুল পড়–য়া ছেলে সিফাতের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে। এদিকে আহত হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয় কবির আহমদের মেয়ে ছালেহা বেগমের বাড়িতে নিয়মিত ইয়াবা সেবনের আসর জমায়। তারই প্রতিবাদ করাই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা ৪/৫জন লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।এই ব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেলেও সাধারণ লোকজন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় রয়েছে। ###
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।