নিজ জন্মভূমিতে শৈশব কাটিয়ে ইন্ডিয়ার সাহারমপুর মাদ্রাসা বেড়ে উঠা উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং পশ্চিম হলদিয়া এলাকার বাসিন্দা সর্বজন শ্রদ্বেয় আলেমদ্বীন মাওলানা মোস্তাক আহমদ ১০৫ বছরেই চশমা ছাড়া কোনআন পড়েন। এই বয়সে শুধু কোরআন নয়, বাদ যায় না তাহাজ্জুদ, রোজা, তারাবি এবং সালাতুত তাসবীহ।
তার পাশ্ববর্তী গ্রাম চৌধুরী পাড়ায় শৈশব কালে ১২ বছর লেখা পড়া শেষ করে দ্বীনে শিক্ষার জন্য ইন্ডিয়ায় চলে যান তিনি। সেখানে উপ-মহাদেশের শ্রেষ্ট শায়খুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া (রহঃ) এর শীর্ষ ছিলেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ।
#ইন্ডিয়া ফিরে এতো দিন কোথায় ছিলেন মাওলানা মোস্তাক আহমদঃ
তিনি বাড়ি পাশে পশ্চিম হলদিয়াপালং পদ্মাপুকুর মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘ ৬৫ বছর ইমামতি করেন। পরে মরিচ্যা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে অবসরে রয়েছেন। ৫ ছেলে ৩ মেয়ের জনক মাওলানা মোস্তাক আহমদ। এক স্ত্রীও জীবিত রয়েছে।
#৫ ছেলে কে কোথায় আছেনঃ
প্রথম ছেলে মাওলানা মুফতী হোসাইন আহমদ, কক্সবাজার পাহাড়তলী রহমানিয়া মাদ্রাসায় মহাদেস হিসাবে আছেন।
দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা হাফেজ মাহমুদুল হাসান, মরিচ্যা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
তৃতীয় ছেলে মাওলানা হাফেজ জুনায়েদ, ইমাম ও খতিব, পশ্চিম হলদিয়াপালং দারুসালাম জামে মসজিদ।
চতুর্থ ছেলে মাওলানা হাফেজ আজিজুল হক, পেশ ইমাম দক্ষিন মরিচ্যা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা।
৫ ম ছেলে মাওলানা হাফেজ মোঃ আনছ, সিনিয়র শিক্ষক চরপাড়া তানিমুল কোরআন মাদ্রাসা ঈদগড় ও পেশ ইমাম ঈদগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
তিন কন্য বিবাহিত জীবনে গৃহীনি হিসাবে আছেন।#
তিনি সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
লেখকঃ এএইচ সেলিম উল্লাহ
সংবাদকর্মী, কক্সবাজার।
৬/৫/২০২০
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।