২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

১০৮ রোহিঙ্গাকে আটকের পর মিয়ানমারে ফেরত

Ukhiya Pic--06.03.2015-1.psd

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আসা শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটকের পর তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) বলছে, রোহিঙ্গাদের আটকের সময় স্থানীয় দালালদের গুলিতে তাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় দুশোর মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভেতরেই পালিয়ে গেছে।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে কক্সবাজারে এসে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালি এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়ি আটকানো হলে, সেখানে দালালদের সাথে বিজিবি’র সংঘর্ষ হয় শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে।
মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা প্রায় কয়েকশ রোহিঙ্গা উখিয়ার চাঁন্দের গাড়ি নামে পরিচিত স্থানীয় বাহনে করে আসছে – এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি’র একটি টহল দল বাহনগুলোকে থামিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, এই অভিযানের সময় স্থানীয় দালালদের আক্রমণে এবং গুলিতে বিজিবির একজন সুবেদার ফজলুল আহত হন।
আহত এই বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি এখন আশংকামুক্ত। ঘটনাস্থল থেকেই একজন দালালকে আটক করা হয়েছে।
আটক ১০৮ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়েছে বা ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ১০৮ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও তাদের সাথে থাকা দু’শর বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভিতরে পালিয়ে গেছে।
কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেছেন, অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গারা আটটি গাড়িতে ছিলেন। দু’টি গাড়ি তল্লাশি করে ১০৮জনকে আটকের পর স্থানীয় দালালরা বিজিবির ওপর আক্রমণ চালায়।
সে সময় আরও রোহিঙ্গাদের বহনকারী ছয়টি গাড়ি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এখন পালিয়ে যাওয়া এই রোহিঙ্গা এবং দালালদের গ্রেফতারের জন্য গোটা কক্সবাজারে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিজিবির ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
উখিয়ার বালুখালি এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে স্থানীয় দালালরা এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে এনেছিল বলে পুলিশ বলছে।
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে এই বালুখালি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফজল কাদের ভুট্টো বলেছেন, অনেক মানুষ জড়ো হওয়ার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা কোন উপলক্ষ থাকলেই, সেটাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এসে কক্সবাজারে শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে বা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আর এর পিছনে থাকে স্থানীয় দালালচক্র।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।