অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি অর্থ পাচার আইনেও অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, তদন্তে বদির নামে-বেনামে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮ টাকার।
দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে বদি গোপন করেন ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকা।
বদির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করেন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ও সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে বদি ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায়, এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগ যথাযথ।
দুদক সূত্র জানায়, বদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তাকারী হিসেবে বদির সহোদর আব্দুস শুকুরকে চিহ্নিত করেছে অনুসন্ধানকারী দল।
তদন্তে আব্দুস শুকুরের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
গত বছরের ২১ আগস্ট অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
দুদকের মামলায় প্রায় তিন সপ্তাহ কারাভোগ করেন এই সংসদ সদস্য।
নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। ওই পাঁচ বছরে তিনি আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা।
দুদকের মামলায় বদির বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদ গোপন এবং ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তদন্তে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা কমেছে। তবে গোপন করা সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় চার কোটি টাকার।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও তিন সাংসদের বিরুদ্ধে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এর মধ্যে আব্দুর রহমান বদি, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ইতিমধ্যে মাহবুবুর রহমানের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও এনামুল হককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।