আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে অালোচনার পর নেতাদের উদ্দেশ্যে পাঁচ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তবে সে বক্তব্য একান্তই জোট নেতাদের উদ্দেশ্যে ছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন তার বক্তব্য উল্লেখ করেন, আল্লাহ পাক আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি। দেশের স্বার্থে রাজনীতি করি, ব্যক্তি স্বার্থে নয়।
তিনি বলেন, ১/১১ সরকার অনেক লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল আমাকে। তবে আমি গ্রহণ করে আপোস করিনি। ভবিষ্যতেও অবৈধ প্রস্তাব ও দেশবিরোধী কোনো প্রস্তাবে কারো সঙ্গে আপোস করবো না।
জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছিল। এই অপচেষ্টা ভবিষ্যতেও থাকবে। অতীতে যেমন আপনারা দুঃসময়ে আমার সঙ্গে ছিলেন আশাকরি ভবিষ্যতেও থাকবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ১/১১ যারা করেছিলেন তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা দিয়েছিল। সব মিথ্যা মামলা ছিল। সেসব মিথ্যা মামলার মধ্যে একই মামলা শেখ হাসিনার প্রত্যাহার হয়েছে। অথচ আমারটা হয়নি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্যই মিত্যা মামলা দেয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠন ও শক্তিশালীকরণে খালেদা জিয়া যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছেন সেবক প্রস্তাবনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনমত গঠনে জোটের নেতাদের চিন্তা ভাবনা করার অাহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জোট নেতা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম, খেলাফতে মজলিসের মাওলানা মো. ইসহাক, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির ড. রেদোয়ান, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সাউদ, পিএল-এর সাইফুদ্দিন মনি, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।