মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৫০জন অভিবাসিকে সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সাংস্কৃতি কেন্দ্রে রাখা এসব অভিবাসিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২জনকে রোহিঙ্গা দালাল হিসাবে সনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে হামিদ হোসেন (৩২) নামের এক মানবপাচারকারী দালালের নাম বললেও অপরজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
অন্যদিকে আজ বিকাল থেকে পুলিশের হেফাজতে থাকা এসব অভিবাসিদের আতœীয়-স্বজনরা কক্সবাজার সাংস্কৃতি কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করছে। দুর-দুরান্ত থেকে এসব স্বজনরা আসলেও তাদের সাথে কথা বলতে দিচ্ছে না পুলিশ। এমনকি এ পর্যন্ত কোন সংবাদকর্মীদের সাথেও কথা বলতে দেননি এসব অভিবাসিদের। অবশ্য, পুলিশ বলছে তদন্তের স্বার্থে তাদের আপাতত নিরাপদ হেফাজতে রয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, পুলিশের হেফাজতে থাকা এসব অভিবাসিদের ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করে যাচাই-বাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে সনাক্ত হওয়া হামিদ হোসেনকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বাকিদের মধ্যে আরেও দালাল আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৮জুন সোমবার বেলা ১১টায় বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল ২০০ অভিবাসিদের মধ্যে ১৫০জনকে মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৯, নরসিংদীর ৫৬, ঝিনাইদহের ১২, টাঙ্গাইলের ৩, চট্টগ্রামের ৮, চুয়াডাঙ্গার ৪, নারায়ণগঞ্জের ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬, বান্দরবানের ৯, কুমিল্লার ১, চাঁদপুরের ১, রাজবাড়ীর ২, যশোরের ২, পাবনার ৫, বাগেরহাটের ৪, হবিগঞ্জের ১ ও নাটোরের ১ জন অভিবাসি রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।