কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ‘শনাক্ত করার পর মোহাম্মদ হামিদকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বাকিদের মধ্যে আরেও দালাল আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
১৫০ বাংলাদেশী শনাক্ত করে সোমবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে তাদের ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ সন্ধ্যায় তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরিতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সকলের তথ্য যাচাই-বাছাই ও জবানবন্দী গ্রহণ শুরু হয়।
ফেরত আনাদের তথ্য যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ এখনো চলছে। তবে কারও সঙ্গে সংবাদকর্মীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ৮ জুন সোমবার বেলা ১১টায় বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যান। ঢেকিবনিয়া সীমান্তে বিজিবি ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে সোমবার ১৫০ জনকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনে বিজিবি।
মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৫০ বাংলাদেশীর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৯, নরসিংদীর ৫৬, ঝিনাইদহের ১২, টাঙ্গাইলের ৩, চট্টগ্রামের ৮, চুয়াডাঙ্গার ৪, নারায়ণগঞ্জের ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬, বান্দরবানের ৯, কুমিল্লার ১, চাঁদপুরের ১, রাজবাড়ীর ২, যশোরের ২, পাবনার ৫, বাগেরহাটের ৪, হবিগঞ্জের ১ ও নাটোরের ১ জন রয়েছে।
২১ মে সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকা ২৮৪ অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। তারা দাবি করে, তাদের ২০০ জন বাংলাদেশী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।