ইমাম খাইর, কক্সবাজার
১৮ বছরের কম বয়সী গর্ভধারণকারী মায়েদের শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ এবং কম ওজনের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ৩৫-৫৫ শতাংশ। ১৫-১৯ বছরের গর্ভবতী মাতৃমৃত্যু সম্ভাবনা ২০ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। আর ১৫ বছরের কম বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর সম্ভাবনা ৫-৭ গুণ বেশি। যেসব নারী ২৫ বছরের পূর্বে সন্তান জন্ম দেয় তাদের ফিস্টুলা (ভগন্দর) সম্ভাবনা প্রায় ৮৮ শতাংশ।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ইপসার ‘কিশোর-কিশোরীদের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ বিষয়ক সভায় এসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এর আর্থিক সহায়তা প্রকল্প ‘বিএইচএ (স্বাস্থ্য)’ এর সভাটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, কথায় না, আমাদের কাজে বড় হওয়া চাই। সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়মুক্ত করতে যুব শক্তিকে কাজ লাগানো দরকার। তাহলেই সমাজকে বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব।
পর্যটন শহর কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) প্রতিনিধি ডাক্তার আবু সায়েম মোঃ শাহীন।
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘কিশোর-কিশোরীদের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক মোঃ রুহুল্লাহ্ খাঁন (কামাল)।
স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা-এর মনিটরিং অফিসার সপ্তর্ষি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার যীশু বড়ুয়া, শমসের উদ্দিন মোস্তফা, সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার (স্বাস্থ্য) মোঃ রাশেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।