২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

২০০ ধর্ষণ ও ৫০০ জনকে হত্যার স্বীকারোক্তি এক আইএস জঙ্গির

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক জঙ্গি প্রায় পাঁচশ জনকে হত্যা এবং ২০০ নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা স্বীকার করে ইরাকে কুর্দি বাহিনীর হাতে বন্দি আইএস জঙ্গি আমর হুসেইন।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হুসেইন জানিয়েছে, তার আমির বা আইএসের স্থানীয় নেতারা ইয়াজিদি সম্প্রদায়সহ অন্য নারীদের যত খুশি ধর্ষণ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। হুসেইনের মতে, ‘এটা তরুণদের জন্য প্রয়োজন, এটা স্বাভাবিক।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও ইরাকি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর আইএস জঙ্গিরা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বহু নারীকে ধর্ষণ করে। আইএস ওই সম্প্রদায়ের অনেক নারীকে অপহরণ করে যৌনদাসী বানায় এবং ওই নারীদের পুরুষ আত্মীয়দের অনেককে হত্যা করে। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর আইএসের এই সহিংসতার বিষয়টি নিয়মিতভাবে বলে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

২০১৩ সালে আইএসে যোগ দেওয়া হুসেইন সাক্ষাৎকারে আরও বলেছে, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যখন একের পর এক এলাকা দখল করে নেয় ওই সময়ে সে তাদের দখল করা এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইয়াজিদিসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্ষণ করতো।

হুসেইন আরও বলেছে, আইএসে যোগদানের পর সে প্রায় ৫০০ জনকে হত্যা করেছে। হুসেইনের স্বীকারোক্তি, ‘যাকে গুলি করা দরকার তাকে গুলি করেছি। যাকে শিরশ্ছেদ করা দরকার তাকে শিরশ্ছেদ করেছি… সাত, আট, ১০ জনকে এক সময়েই হত্যা করতাম। কখনও ৩০ বা ৪০ জনকেও। আমরা তাদের মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করতাম।’

সে আরও বলেছে, ‘আমি তাদের মরুভূমিতে বসিয়ে এবং চোখে কালো কাপড় বেঁধে মাথায় গুলি করতাম। এসব ছিল স্বাভাবিক ঘটনা।’

সাক্ষাৎকারে হুসেইনের মধ্যে অনুশোচনা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সে বলেছে, ‘আমার কাছে কোনও অর্থ ছিল না। কাজ ছিল না। কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তা বলার কেউ ছিল না। আমার বন্ধু ছিল। কিন্তু কেউ আমাকে কোনও পরামর্শ দেয়নি।’

তবে এসব বক্তব্য রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।

গত অক্টোবরে কুর্দি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর থেকে হুসেইনকে জানালাবিহীন একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ২১।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।