করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবে আটকে পড়া বাংলাদেশের ১৩২ জন ওমরাহ হজ যাত্রী এবং সৌদি আরবের কারাগারে ডিটেনশনে থাকা ২৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট জেদ্দাস্থ কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ।
তিনি জানান গত ৯ এপ্রিল এসব ওমরাহ যাত্রী এবং ডিটেনশন থাকা প্রবাসীদেরকে নিয়ে সৌদি সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমান ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও দেশজুড়ে লকডাউন, কারফিউ জারি থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে স্থানীয় প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ,হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশন এর সাথে সমন্বয় করে আগামী ১৫ এপ্রিল এসব যাত্রীদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪.৩০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ আরো বলেন সৌদি আরবের সবগুলি প্রতিষ্ঠান সাথে সমন্বয় করে এসব প্রবাসী এবং ওমরা যাত্রীদের এই মুহূর্তে বাংলাদেশ প্রেরণ করা খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আটকে পড়া ওমরাহযাত্রী ও সমস্যা কবলিত প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো। তিনি রিয়াদ দূতাবাস, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং বাংলাদেশ হজ মিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব ব্যাপারে সক্রিয় সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
সৌদি আরবের স্থানীয় আইন লঙ্ঘন ও বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন সৌদি কারাগারে ডিটেনশনে থাকা প্রবাসীদের দেশে যাওয়ার খবরে অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজন সহ-সাধারণ প্রবাসীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দূতাবাসের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে আটকে পড়া ওমরাহ হজযাত্রীদের মধ্যেও অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে এমনটাই জানিয়েছেন গত ফেব্রুয়ারীতে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে আসা ওমরা হজ যাত্রীরা। তাদেরই একজন কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শহীদ। তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকার এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশন, জেদ্দা কনস্যুলেট জেনারেল অফিস সর্বোপরি বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আটকে পড়া ওমরাহ হজ যাত্রীদের পক্ষ থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সৌদি আরবের বর্তমান কারফিউ, লকডাউন পরিস্থিতির কারণে সরকারি অফিস আদালত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সবকিছু বন্ধ থাকার মধ্যে আটকে পড়া ওমরাহযাত্রী ও কারাগারে ডিটেনশনে থাকা প্রবাসীদের ফেরত পাঠানো উদ্যোগকে অনেকটা অসাধ্য ব্যাপার, এত সমস্যার মধ্যেও দূতাবাসের এমন উদ্যোগকে অনেকটা অভাবনীয় বলে মনে করছেন সৌদি আরবের প্রবাসী সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো তারা বলছেন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করা করার কারণে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
সূত্রঃ চ্যানেল আই
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।