২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

২৫৭ রানে কি জেতা সম্ভব?

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বারবার উইকেট না হারালে বাংলাদেশ হয়তো তিন শর দিকেই ছুটতও বড় স্কোর হতেই পারত। হলো না। বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে ঝড়টা তুলতে পারল না। হলো মোটে ৬৭ রান। তাতেই ৯ উইকেটে ২৫৭। এই রানে কি জেতা সম্ভব?

প্রশ্নটার উত্তর ম্যাচ শেষেই জানা যাবে। উত্তরটা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন মাশরাফি-রুবেলরাই। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বারবার উইকেট না হারালে বাংলাদেশ হয়তো তিন শর দিকেই ছুটত। তবে যা হয়েছে, তা নিয়েই কি লড়াই করা সম্ভব এই ছোট মাঠে? কী বলছে এই মাঠের পরিসংখ্যান?
উত্তরটা হলো—ক্যাসল অ্যাভিনিউতে (ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড) ২৫৭ রান করে এখনো হারেনি কোনো দল। আরও স্পষ্ট করে বললে, এ মাঠে ২২৯-এর বেশি করে এখনো হারেনি কোনো দল।
২২৯ রানের বেশি করে ‘সব দলই জিতেছে’ এ কথাটা বলা যাচ্ছে না। ২০১৩ সালে এ মাঠে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬৬ রান তুলেছিল পাকিস্তান। সে রান টপকে ২৭৫ করে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। তবে বৃষ্টি আইনে লক্ষ্যটা ২৭৬ হওয়ায় সে ম্যাচে জয় পায়নি কোনো দল। টাই হয়েছিল ম্যাচটি।
এটাই একমাত্র ব্যতিক্রম। এ ঘটনা বাদে ২৩০-এর কোটা পেরোলেই এ মাঠে সংগ্রহটা নিরাপদ প্রমাণ করেছে সবাই। আজকের ম্যাচের আগে দশবার প্রথমে ব্যাট করা দল ২০০ রান করতে পেরেছে। মাত্র দুটি হার ও একটি টাই ম্যাচের বিপরীতে ৭টি জয় তো ভরসা দিতেই পারে বাংলাদেশকে।
ডাবলিনের এই মাঠে পরে ব্যাট করে জেতার ঘটনা বেশি। তবে ভালো স্কোর গড়তে পারলে প্রথমে ব্যাট করা দলের জয়ের ঘটনাই বেশি। পরে ব্যাট করে বেশি রান তোলার রেকর্ড এ মাঠে নেই। টাই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ২৭৫-এর পর পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ২৪০ রানই করতে পেরেছে কোনো দল। এমনকি ১৬৩ রানে অলআউট হয়েও জেতার রেকর্ড আছে। ২০১২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচে ৫৯ রানের বড় জয়ই পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।
তবে এই পরিসংখ্যানেও একটা ‘কিন্তু’ আছে। এ মাঠে দুটি টেস্ট খেলুড়ে দল এই প্রথম মুখোমুখি হলো। তাই দুটি পূর্ণ সদস্যের ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী সহযোগী সদস্যদের পরিসংখ্যান দিয়ে করাটা হয় তো নিরাপদ হবে না। তবু আশা করতে দোষ কী!

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।