সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমীর আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ২৮শে অক্টোবর শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন মানবতাবিরোধী অপরাধের এক কলংকজনক দিবস। সেদিনের লগি-বৈঠার তান্ডবের কথা মনে হলে বিবেকবান মানুষের গা শিউরে উঠে। ২০০৬ সালের এ দিনে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে নারকীয় উল্লাসে মেতে উঠেছিল আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। মিডিয়ার সুবাধে আওয়ামী হায়েনাদের বিভৎষতা, ভয়ানক তান্ডব আর পাশবিকতা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব মানবতা। আওয়ামী হায়েনারা সে দিন পাশবিকতায় সীমারকেও হার মানিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাসের এই বর্বরতম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের এখনো বিচার করা হয়নি। ফলে হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
তিনি কক্সবাজার শহর জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ডের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। শহর জামায়াতের আমীর আলহাজ¦ সাইদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, শহর জামায়াতের সেক্রেটারী আবদুল্লাহ আল ফারুক, এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ মুহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নিহতদের পরিবারসহ সারাদেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল এই নির্মম হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে এবং অপরাধীরা যথাযথ শাস্তি পাবে। কিন্তু এর বিপরীতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আরোহণের পর পরই জামায়াতে ইসলামী ও নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলাগুলো একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এক দিকে আওয়ামী লীগ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে নিরপরাধ জামায়াত নেতৃবৃন্দদের ফাসিঁ দিয়েছে, অপর দিকে তাদের নিদের্শে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া জলজ্যান্ত ঘটনা ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিক হত্যাকান্ড যার সাক্ষী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিশ্বের অগণিত মানুষ। ঐ জগণ্য হত্যকান্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশাসনিক নিদের্শে বাতিল করে দেয়ার ঘটনা সরকারের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতিরই বহি:প্রকাশ এবং আরেকটি জগণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
পরিশেষে ২৮ অক্টোবরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, জেলা আমীর আলহাজ¦ মুস্তাফিজুর রহমান, মোনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি কামনাসহ জালিম সরকারের জুলুম-নির্যাতন থেকে সাধারন মানুষকে মুক্তি কামনা করা হয়। এবং দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।