২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

২ জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বেঙ্গালুরু রোজ ও কৃষ্ণপুরাম—এই দুই জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর এই প্রথম দুই জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন করল। গত ৯ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে এই আদেশ জারি করা হয়।

তবে রপ্তানিতে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে প্রতি জাতের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টন এবং জাহাজীকরণ হবে কেবল ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। এমন শর্তের কারণে এই কায়দায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের পেঁয়াজ আমদানি হয় মূলত স্থলবন্দর দিয়ে; সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এ দেশে পেঁয়াজ আমদানির রেকর্ড নেই।

অন্যদিকে ভারতের সেই পেঁয়াজ এলে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক ওকেএম ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিয়র রহমান বলেন, ‘আমি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এনেছি; পাকিস্তান থেকেও আসার পথে রয়েছে। ভারতের এই খবরে আমি আমদানি অনুমতি নিলেও এখন আর ঋণপত্র খুলব না।’

তিনি মনে করছেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভারতের প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এর ফলে দুই জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির খবর বাংলাদেশের আমদানিকারকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে নিশ্চিত। তাই সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। সেটি হচ্ছে কত দিন পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে তার একটি ঘোষণা দেওয়া। তাহলে আমদানিকারকরা নিশ্চিন্তে তত দিন পর্যন্ত অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনবেন।

গতকাল (৯ অক্টোবর) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে বলা হয়, বেঙ্গালুরু জাতের পেঁয়াজ ১০ হাজার টন এবং কৃষ্ণাপুরাম জাতের পেঁয়াজ ১০ হাজার টন রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে এই পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পন্ন করতে হবে। সব পেঁয়াজ জাহাজীকরণ হতে হবে ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে।

এদিকে ভারতের বদলে বিকল্প ১৩ দেশ থেকে সাড়ে সাত লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে সরকার থেকে অনুমতি নিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে পৌঁছেছে দুই হাজার টনের মতো। বাকি পেঁয়াজ ধারাবাহিকভাবে আমদানি নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট প্রকট হবে।

ভারতের দুই জাতের পেঁয়াজের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার খবরে বড় শিল্প গ্রুপের মধ্যে আবুল খায়ের গ্রুপও পিছু হটেছে। তারা এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। বাকি ১২ হাজার টন আনবে কি না নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যাগ্রো কমোডিটি ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রেজাউল করিম আজাদ বলছেন, যাঁরা আমদানি করছেন তাঁদের মধ্যে কোনোভাবেই প্যানিক তৈরির সুযোগ দেওয়া যাবে না। আতঙ্কের কারণে এক সপ্তাহ ঋণপত্র খুলতে দেরি হলে এর প্রভাবে সরবরাহ সংকট দেখা দেবে। সুতরাং সরকারের উচিত ব্যবসায়ীদের ডেকে সেই আতঙ্ক দূর করে পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহ দেওয়া।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।