জনসম্মুখে ২ হাজার ইয়াবা ধরে ৪শত ৭৫ পিস ইয়াবা দেখিয়ে বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় এ অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এতে পুলিশের সুনামের পাশাপাশি ভাবমূর্তি নিয়েও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯ মে বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে এ নেক্ক্যার জনক ঘটনা ঘটে। পরে ২০ মে ইয়াবা সহ আটককৃত ব্যক্তিকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠানোর সময় সে অভিযান পরিচালনাকারি দারোগাকে উদ্দেশ্য করে নানা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। এমনকি উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে দেদারছে ইয়াবার বাণিজ্য করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে। পাশাপাশি ২ হাজার ইয়াবা ধরে ৪শ ৭৫ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়ার কথাও স্বীকার করে। এ নিয়ে পুরো আদালত পাড়ায় পুলিশের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে নানা সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই বলতে দেখা গেছে, মাদক ব্যবসায়িরা ইয়াবা সহ ধরা পড়লে তাদেরতে জেলে যেতে হয়। আর তাদের কাছ থেকে ইয়াবা কেড়ে নিয়ে পুলিশ তা বিক্রি করলে বৈধ হয়ে যায় এবং তাদেরকে জেলে যেতে হয়না।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, টেকনাফ সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার ডেইল পাড়ার মৃত সোনা আলীর পুত্র এনাম উল্লাহ(৩৫) গত ১৯ মে বিকেলে ২ হাজার মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এমন সময় টেকনাফ শামলাপুর আল হোষাইন হেলথ কেয়ারের সামনে থেকে তাকে আটক করে বাহাছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর টু-আইসি হাবিবুর রহমান। পরে তার কাছ থেকে ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে এবং কম ইয়াবা দিয়ে চালান দিলে তাড়াতড়ি জামিন হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে। এমনকি কম ইয়াবা দেখিয়ে চালান দেয়ার কথা কারো কাছে না বলার জন্য নানা ভাবে হুমকি দমকি দেয় বলে জানান তার আত্মীয় স্বজন। এদিকে এ দারোগার ইয়াবা গায়েবের খবর নিয়ে পুরো বাহারছড়া সহ কক্সবাজার আদালত পাড়ায় সমালোচান ঝড় ওঠেছে। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারি দারোগা হাবিবুর রহমান জানান, র্সোস ম্যানেজ করার কারনে ইয়াবা যা উদ্ধার হয় তা মামলায় দেখানো সম্ভব হয়না। পাশাপাশি ৭/৮ জন পোর্স নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদেরও খরচ আছে। তাই একটু এদিক ওদিক হয়েছে। তবে ইয়াবার পরিমান ২ হাজার হবেনা একটু কম হবে বলেও জানান তিনি। দারোগার বক্তব্যে ৭/৮ জন পোর্সয়ের কথা বললেও মূলত উক্ত দারোগা মোটরসাইকেল করে পেছনে এক জন সঙ্গী নিয়ে এ অভিযানটি চালানো হয় বলে জানা গেছে।
একই ভাবে ১১ মে রাতে বাহারছড়ার বাজারের টেকনাফ শামলাপুর স্টেশনস্থ নয়াপাড়া এলাকার নুর আহমদ এর পুত্র মোঃ রফিক এর মিষ্টি দোকানে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য বিয়ার রাখার ওজুহাত দেখিয়ে দোকানের মালামাল ছুড়ে ফেলে দেয় এবং মাদক আইনে মামলা নেয়ার হুমকি দমকি দিয়ে নগদে ১০ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে দারোগা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
পরে বিষয়টি টেকনাফ থানার অফিসার ইনর্চাজ আতাউর রহমান ও (উখিয়া-টেকনাফের সার্কেল) সহকারি পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পর্যন্ত গড়ালেও অজ্ঞাত কারনে এ অপকর্ম থেকেও রেহায় পেয়ে যায় এ নানা অপকর্মের হুতা বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর টু-আইসি হাবিব।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।