২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

৩০০ এমপিকে খুশি করার প্রকল্প!

জাতীয় সংসদের তিনশ এমপিকে খুশি করতে একটি প্রকল্পে ১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। পুকুর খননের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও শহরাঞ্চলে স্যানিটেশন সুবিধা বাড়ানোর নামে সাংসদরা এই টাকা ব্যয় করবেন। নিজ আসনের কোন কোন এলাকায় এ টাকা ব্যয় করা হবে তা এমপিরাই ঠিক করবেন। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৩০০টি নির্বাচনী জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে ৪৫০টি ডিও লেটার এসেছে। যেখানে ৮০ হাজার টিউবয়েল স্থাপনের চাহিদা রয়েছে। এই কারণে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছি আমরা। এ অর্থ দিয়ে ৯০ হাজার পানির উৎস স্থাপন, ১১০টি পুকুর খনন, ২২০টি পন্ড অ্যান্ড ফিল্টার নির্মাণ, ৬ হাজার রেন ওয়াটার হার্ভেসটিং, ৬০০ কিলোমিটার সার্ফেস ড্রেন ও ৬০০টি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে।

সূত্র জানায়, দেশের ৩০০টি নির্বাচনী আসনে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের বিশেষ প্রকল্প হিসেবে এই টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী আসনে পানি ও স্যানিটেশনের সুবিধা বাড়াতে এই প্রকল্প নেয়ার অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে বাংলদেশে ৩০০টি নির্বাচনী আসনে পানি সরবরাহ ও সেনিটেশনের বিশেষ প্রকল্প।

প্রকল্পটি ২০১৯ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পুকুর খননের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠস্থ পানি সরবরাহ করা, পান করার উপযোগী পানি হিসেবে ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, পানি সরবরাহের উৎস বাড়ানো, পল্লী ও শহর অঞ্চলে গণশৌচাগার ও সার্ফেস ড্রেন নির্মাণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামীণ এলাকায় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য পুকুর খনন ও পানির ভূউপরিস্থ ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনসেবা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যদিও এটি চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।