২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৩৫ বছরের অস্ত্রকারিগর ‘খুইল্যা মিয়া’র ইতি ঘটালো ওসি প্রদীপ

 

খুলু মিয়া প্রকাশ খুইল্যা মিয়া (৫০)। মহেশখালি উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাঝেরডেইল এলাকার মৃত আজম উল্লাহ’র ছেলে। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে অস্ত্রকারিগর হিসাবে পাহাড়ে বসবাস। অস্ত্র তৈরি, বিক্রি ও ভাড়া দেয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করায় খুইল্যা মিয়া গংদের কাজ। আর সেই ৩৫ বছরের অস্ত্রের কারিগর খুইল্যা মিয়ার ইতি ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলার বোয়ালখালি উপজেলার বাসিন্দা পুলিশ বিভাগের আলোচিত মুখ, অপরাধীদের জম চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ (পিপিএমবার)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হোয়ানক কেরুনতলী পাহাড়ী এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তার ইতি ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার সময় ডটকমকে জানান, হোয়ানক ইউনিয়নের গভীর পাহাড়ে অস্ত্রকারীগর ও সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি ইউনিট এবং মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালান। এসময় অস্ত্রকারিগররা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে । পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অস্ত্রকারিগর খুইল্যা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে কর্তব্যরত মৃত ঘোষনা করেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরো জানান, নিহত খুইল্যা একজন পেশাদার অস্ত্র তৈরীর কারীগর। তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলায় ৩০ বছরের সাজাসহ ডজনখানেক বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। সে আন্ত: জেলার শীর্ষ অস্ত্রকারিগরের সর্দার। সে দীর্ঘ ৩৫বছর যাবৎ অস্ত্র তৈরী করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছিল।

প্রসঙ্গতঃ এসময় ওই অস্ত্রকারীগরের আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে দেশীয় তৈরী বিভিন্ন রকমের ১৩টি বন্দুক ও ৩২ রাউন্ড তাজা কাতুর্জ উদ্ধার করে। এঘটনায় আহত হয় মহেশখালী থানা উপপরিদর্শক এসআই হারুনর রশিদ, এসআই ফররুখ আহমদ মিনহাজ, এএসআই মানিক, এএসআই সনজিত, কনষ্টেবল মিঠুন ভৌমিক, কনষ্টেবল রুবেল শর্মা আহত হয়। পুলিশ সদস্যদের মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া দেয়া হয়।
এদিকে অভিযান শেষে জেলা পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেন বিকাল ২টার সময় এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, অস্ত্রকারিগররা ও সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের গভীর অরণ্যে’র আস্তানায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল- নিজস্ব সোর্স এর মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এধরনের অস্ত্রকারিগর ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো-টলারেন্স ভূমিকায় থাকবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।