২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

৪৫ বছর পরও গোমাতলীর শনির দশা কাটছে না

picsart_1480950053239
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছর পরও কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী-রাজঘাট সড়কের শনির দশা কাটছে না । ২ কি:মি সড়কটি সংষ্কারে কক্সবাজার এলজিইডি প্রায় কোটি টাকা ব্যায় করে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘ বছর পর হলেও সড়ক পাকা করনের কোন প্রকারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি ।
জানা যায়, দীর্ঘ সাড়ে ৩ যুগ ধরে কাঁচা-পাকা সামান্য ব্রীকে সলিনের এ রাস্তাটি অবহেলায় ছিল। এলাকাবাসী জানায়, বছর দুয়েক পূর্বে তৎকালিণ ককসবাজার-রামু আসনের সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল এমপি ২ফুট করে মাটি ভরাট করেছিলেন। অপর দিকে ঐ সময়কার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছলিম উল্লাহ বাহাদুর নিজ এলাকা পরিদর্শনের সময় সড়কের এই বেহাল দশা দেখে স্থানীয় এলাকাবাসীকে অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের আলোর মুখ না দেখায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পোকখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৌলভী ফরিদুল আলম সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও দৃষ্টি দেয়নি অবহেলিত গোমাতলীর দিকে। তবে গোমাতলীর বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ এ এলাকাটি আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত হওয়ায় দীর্ঘবছর ধরে মেরামত ও পাকা করনের কোন প্রকারের উদ্যোগ নেয়নি কোন সরকার।
সূত্র জানায়, উক্ত সড়ক দিয়ে গাইট্ট্যাখালী,আজিম পাড়া,উত্তর গোমাতলী,রাজঘাট,চরপাড়াসহ প্রায় ১০ হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়ত করেন। এখানে রয়েছে প্রাইমারী স্কুল,হাইস্কুল,মাদ্রাসা ও ফোরকানিয়াসহ বেশ কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জ্ঞান পিপাসু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
স্থানীয় অনেকেই জানান, গোমাতলী এলাকাটি আওয়ামীলীগ অধ্যূষিত হওয়ায় যুগযুগ ধরে অন্যান্য সরকারের সময়ে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। দূর্ভাগ্যের বিষয় গোমাতলীতে ছিল এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্বাধীনতার যুদ্ধের সুর্য্যসন্তান। তবুও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সম্প্রতি সড়কটির ব্রীজ কালভার্টের ধসে পড়ে যাওয়াতে বর্তমানে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে ব্যাপক দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, গোমাতলী-রাজঘাট সড়কের বাসিন্দারা কাটাখালী কালভার্টটির উপর দিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোন ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে চালকরা কালভার্টটির এ বেহাল দশার চিত্র না জানায় বেশির ভাগ সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। অপর দিকে ছোট যানবাহন গুলো চলাচলে মারাত্মক ঝুকি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় কালভার্টটির বিশাল ফাটল অংশ চোখে না পড়ায় ড্রাইভাররা সরাসরি গর্তের উপরে পড়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।
এমতাবস্থায় কাটাখালী কালভার্টটি যে কোন মুহুর্তে আরো ধসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা কালভার্টটি সংস্কার করা জরুরী বলে দাবী জানিয়েছেন। তা না হলে যাতায়াতে আরো দূর্ভোগ পোহাতে হবে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।