টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ আর বোলারদের বধ্যভূমি। ধুমধারাক্কা চার আর ছক্কার খেলা। ইদানিং রান ২০০ ছাড়িয়ে গেলে তাদের প্রকৃত টি-টোয়েন্টি দল বলা হয়। কিন্তু আইপিএলের দশম সিজনে হচ্ছেট কী? কয়েকদিন আগেই মাত্র ৪৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। গতকালও ৯৬ রানে ২০ ওভার শেষ করেছে তারা। আজ মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়ে দারুণ লজ্জার জন্ম দিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এএফপি
মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পরিবর্তিত অধিনায়ক করুন নায়ারের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মিডিয়াম ফাস্ট সন্দিপ শর্মার তোপের মুখে পড়ে দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। কোরি অ্যান্ডারসন সর্বোচ্চ রান করেছেন ১৮। করুন নায়ার এবং কাগিসো রাবাদা করেন ১১ রান করে। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান তুলতেই অলআউট কিংস দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন সন্দিপ শর্মা। ২ উইকেট করে নেন অক্ষর প্যাটেল এবং বরুন অ্যারোন। ১ উইকেট করে নেন মোহিত শর্মা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
মাঠে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের এক প্রমীলা ভক্তের উল্লাস।
ছবি: এএফপি
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারও খেলতে হয়নি পাঞ্জাবের। উইকেট হারাতে হয়নি একটিও। মাত্র ৪৭ বলেই এসেছে বিশাল জয়। শুরুতেই দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর হাশিম আমলা রীতিমত স্টিম রোলার বইয়ে দেন দিল্লির বোলারদের ওপর। ২৭ বলে ৬ চার এবং ৩ ছক্কায় ৫০* রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গাপটিল। হাশিম আমলা একটু ধীরগতিতে খেলে ২০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১৬* রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৭.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।