এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় বাসা ভাড়ার টাকা না দিয়ে জমিদারকে পিটিয়ে মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে বাড়ি মালিক, তার স্ত্রী ও দুইভাইসহ ৫জনকে বেদম প্রহার করা হয়েছে। আহতদেরকে ঘটনার পর উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের খাসপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা।
হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাড়ি মালিক মোস্তাক আহমদ বাদি হয়ে ২১ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে আটজনকে। অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার ওবাইদুল হাকিম প্রকাশ বিছিরা, জিয়াউদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদ ফিরোজ, রওশন আক্তার, আছমা খাতুন, ছালেহা বেগম, কাউছার বেগম ও মোবারক হোসেন।
মামলার আর্জিতে বাদি গাড়ি চালক মোস্তাক আহমদ জানান, তাঁর বাড়িতে স্বামী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন প্রতিবেশি মোহাম্মদ ফিরোজের মেয়ে ছালেহা বেগম। দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়ার টাকা বকেয়া থাকলে তিনি ছালেহা বেগমকে বাসা ছেঁড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কথা মতো সম্প্রতি সময়ে বাসা ছেঁড়েও দেন ছালেহা। কথা দেন বাসায় রক্ষিত মালামাল সমুহ ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে নিয়ে যাবে। বাদি আর্জিতে জানান, ঘটনার দিন ১৯ নভেম্বর তিনি গাড়ি নিয়ে ভাড়া টানতে যান। ওইসময় বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে অভিযুক্ত আসামিরা তাঁর বাড়িতে ঢুকে বাসাভাড়ার টাকা না দিয়ে ছালেহা বেগমের রক্ষিত মালামাল সমুহ নিয়ে যেতে উদ্যৎ হয়।
এসময় বাদির স্ত্রী ইছমত আরা বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে বাদি মোস্তাক আহমদ, তাঁর দুই ভাই ফজল কাদের, রহুল কাদের, ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মালামাল নিতে ফের বাঁধা দেন। একইভাবে অভিযুক্ত বিবাদিরা তাদেরকে পিটিয়ে মালামাল গুলো নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মামলার আর্জিতে বাদি দাবি করেন, হামলা ও লুটপাটের সময় আহত শাহিদা বেগমের পরিধানে থাকা ৭০ হাজার টাকা দামের স্বর্ণ লুট ও আরো ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।