তিনি বলেছেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে এখন অস্বীকার করছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে একজন মানুষকে তুলে নিয়ে যাবে অথচ কেউ কিছু বলবে না। এটা কিভাবে হয়।’
হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে যে অবস্থায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে অবস্থায় এবং অক্ষতভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। অথবা তাকে আদালতে হাজির করা হোক।’
তিনি বলেন, গোয়েন্দা পরিচয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে তারা ওই বাসার দারোয়ানের কাছে নিজেদের ‘গোয়েন্দা’ বলে পরিচয় দিয়েছেন।
হাসিনা আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার সঙ্গে সর্বশেষ সালাহ উদ্দিন আহমেদের কথা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
তিনি বলেন, এর আগে গত শনিবার রাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বাসার দু’জনকে ধরে নিয়ে অকথ্য ভাষায় নির্যাতন করে গুলশান থানায় সোপর্দ করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাদের কি দোষ, তারা গরীব মানুষ। তারা তো পেটের দায়ে চাকরি করে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন কোন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি, অন্যদের সঙ্গে করেছি।’
এর আগে হাসিনা আহমেদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে এক আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে এবং রবিবারের মধ্যে আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আগামী রবিবারের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি র্যাবের ডিজি, এসবি প্রধান, সিআইডির প্রধান, ডিএমপির কমিশনার ও উত্তরা থানার ওসিকে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের রুলের পরই হাসিনা আহমেদ প্রেস ব্রিফিং করেন।
এর আগে হাসিনা আহমেদ বলেছিলেনন, ‘তাকে (সালাহ উদ্দিন) গত রাত ১০টার সময় ছয় গাড়ি লোক ওইখানে যায়, উত্তরার বাসায় যেখানে উনি ছিলেন। ওই বাসায় ঢুকে সিকিউরিটি গার্ডকে উনারা ডিবির (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) পরিচয় দেন এবং উনাদের কার্ড দেখান। ডিবির পরিচয় দিয়ে উনারা উপরের তলায় উঠে যান, যেখানে উনি ছিলেন। সেখানে গিয়ে উনার দরজা ধাক্কায়ে মোটামুটি ভেঙে ফেলে ভেতরে ঢুকে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে উনি আমাকে কল দেন। কল দিয়ে জানান যে আমাকে এ রকম আটক করার চেষ্টা করতেছে। এ মুহূর্তেই লাইনটা ওরা কেটে ফেলে। কেটে ফেলার পর আমি আর উনাকে ট্রেস করতে পারি নাই।’
হাসিনা আহমেদ আরো বলেন, ‘আমি বহুবার চেষ্টা করেছি উনার সাথে যোগাযোগ করার। পাই নাই। বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম। বাড়ির মালিককে আমি ধরতে পারলাম এবং বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে উনাকে (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) এভাবে উনারা হাত বেঁধে, চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গেছে, ছয় গাড়ি লোকজন।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।