২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

অনুপ্রবেশকালে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নাফ নদীর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৪ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, ভোররাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৭৪ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির সদস্যরা। এর মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ২৪ নারী ও ৩৯ জন শিশু রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে চলতি মাসের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, নাফ নদীর একটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় জলসীমার শূন্যরেখায় এদের ফেরত পাঠানো হয়। প্রতিটি নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা ছিল। সে হিসাবে ওই নৌকায় ৩৬ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে ধারণা করছেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফে নাফ নদীর জলসীমানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে রোহিঙ্গাবাহী ২৩২টি নৌকা ফেরত পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ভেতরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েককটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ৯ সদস্য নিহত হয়। সেই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে তাদের ওপর নির্যাতন শুরু হলে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।