উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা পালং (মধুঘোনা) এলাকায় জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ১০ বছরের ছেলে আরফাতকে মেয়ের পক্ষ থেকে জোর পূর্বক বিয়ের পীড়িতে বসানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানোর ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মরিচ্যা পালং (মধুঘোনা) এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো: আরফাত (১২) কে একই এলাকার নুরুল হকের মেয়ে সুমি আক্তার (১৫) এর সাথে জোর পূর্বক বিয়ের পীড়িতে বসানোর জন্য মেয়ের পিতামাতাসহ এলাকার কিছু কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এতে মো: আরফাতের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছে। নুরুল হক স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তির কথা কর্ণপাত না করে আব্দুর রশিদের পরিবারকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানোর পায়তারা চালাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হলদিয়া পালং ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার এম. মনজুর আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, ১২ বছরের শিশু ছেলে আরফাতকে এলাকার ষড়যন্ত্রকারীরা ভবিষ্যত অন্ধকার করে দেওয়ার জন্য এই ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে নুরুল হক তার মেয়েকে ঢাল হিসেবে ববহার করে অসহায় আব্দুর রশিদের সহায় সম্পদ দখল করার পায়তারা শুরু করছে।
হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলমের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, এ রকম একটি অভিযোগ আমি শুনেছি, কোন অবস্থাতেই আমার ইউনিয়নে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন ছেলেমেয়ের বিয়ে হতে দেবনা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: কায় কিসলু জানান, এ বিষয়ে থানায় ছেলের পিতা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। তদন্ত পুর্বক অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।