বিশেষ প্রতিবেদকঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অভিনেত্রী তারানা হালিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগের আওতায় আনতে। সে কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমরা টেলিটকের মোট ১০টি বুথ বসিয়েছি। ঘোষণা দিয়েছিলাম সুলভে টেলিটকের এই সেবা দেয়া হবে। কিন্তু ক্যাম্পে এসে দেখলাম সিংহভাগ রোহিঙ্গা সেই সুলভ মুল্যও দিতে পারছেনা। যেহেতু মানবিক আশ্রয় দেয়া সম্ভব হয়েছে সেহেতেু টেলিযোগাযোগ সুবিধাটাও ফ্রিতে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে উখিয়া-টেকনাফের এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে। তবে এর বিনিময়ে কোন রোহিঙ্গা যেন বেসরকারি কোন সংযোগ ব্যবহার করতে না পারে এটি নিশ্চিত করতে হবে।
কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের ক্যাম্পে টেলিটকের বুথ উদ্বোধনকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার দুপুরে একথা বলেন।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, হাকিমপাড়া, পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং অস্থায়ী ক্যাম্পে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে ১০টি বুথ চালু করেছে টেলিটক। এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা ফ্রিতে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এতে অসহায় রোহিঙ্গারা নিজের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী তারানা হালিম আরো বলেন, রোহিঙ্গা প্রবণ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ভয়েস সার্ভিস নিশ্চিত করতে টেলিটকের সক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। আর রোহিঙ্গারা যাতে অবৈধভাবে কোন সিম ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুথ উদ্বোধন শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন তারানা হালিম। এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও টেলিটকের স্থানীয় ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।