কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি-পোকখালীর পাউবো বেড়িবাঁধ চরম বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় চলতি লবণ মৌসুমে কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে ২ ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ,বেড়িবাঁধের অনেকাংশে ভেঙ্গে যোগাযোগ অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সদরের এ ২ ইউনিয়ন জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতির সবচেয়ে শিকার হয়েও সরকারের কোন সুদৃষ্টি আকর্শন করতে পারছেনা। বেড়িবাঁধের বেহাল দশা, লন্ডভন্ড গ্রমীন সড়ক উপসড়ক দেখলে মনে হবে প্রাচিন যুগের কোন এক অঞ্চল। চৌফলদন্ডি-পোকখালীর গোমাতলী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এখন নিদারুণ ও অবর্ণনিয় দুর্যোগ এবং সাগর-নদীর জোয়ারের পানির কবলে পড়ে রীতিমত হাহাকার করছেন। গোমাতলী -পোকখালী সড়ক এবং সাগর সংলগ্ন পাউবো বেড়িবাঁধ বছরের পর বছর উন্নয়ন এবং সুষ্ট মেরামতের অভাবে এহেন করুন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কেউ নিজের চোখে না দেখলে প্রবন্ধের বর্ণনায় তা বলা সম্ভব নয়। চরম বেহাল যোগাযোগ অবকাটামোয় সাধারণ মানুষ ছাড়াও এই নির্মম পরিস্থিতির বলি হচ্ছেন গোমাতলী রাজঘাট, চরপাড়ার প্রসুতী এবং রোগীরা। বেড়িবাঁধের ভিতরে বাইরে ১০ হাজার মানুষ জোয়ারের পানিকে নিয়তির পরিনতি হিসাবে ভেবে দিন কাটছেন। পূর্নিমার জোয়ার হলে এসব মানুষের নির্ঘুম রাত কাছে। উপকূলীয় পাউবো বেড়িবাঁধের জরাজির্ণ এ অবস্থায় পড়ে থাকলে যে কোন মুহুর্তে জোয়ারে আবারো বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তবে উত্তরনের কোন চিহ্ন দেখছেননা এলাকাবাসী। জনপ্রতিনিধি, এমপি, চেয়ারম্যানরা, তাদেরকে নানা উদ্যোগের কথা শুনাচ্ছেন। এরূপ পরিস্থিতিতে গভির দু:খ ও হতাশা ব্যক্ত করাছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার এলজিইডিভুক্ত সড়কের মত অবর্ণনিয় অবস্থা বিরাজ করছে চৌফলদন্ডী-পোকখালী উপকূলিয় বেড়িবাঁধের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি ২ দফা জোয়ারে বেড়িবাধের ৬ নং স্লুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় বাঁধের বির্স্তীণ অংশ ভেঙ্গে বিলিন হয়েছে। এর ফলে পূর্ণিমার জোয়ারে পোকখালীর পশ্চিম গোমাতলী, চরপাড়া, বাশখাইল্যা পাড়া, আজিম পাড়া,রাজঘাটসহ অনেক পাড়া মহল্লা ভেসে যায় পানির তোড়ে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ইউনিয়নের গোমাতলীর গাইট্যাখালী সড়ক দিয়ে রাজঘাট পাড়ায় চলাচল করা যায়না। অনেক জায়গায় এখনো চলছে জোয়ার ভাটা। জোয়ারের সময় পানি বন্ধি হয়ে পড়ে উত্তর গোমাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গ্রামের পর গ্রাম।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চৌফলদন্ডি- পোকখালী পাউবো বেড়িবাঁধের এহেন অবস্থার কথা বছরের পর বছর ধরে উর্ধ্বতন মহলের কাছে লিখে আসছেন। কোন আর্থিক বরাদ্ধ না আসায় কার্যাদেশও দেয়া হচ্ছেনা। ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, চৌফলদন্ডি- পোকখালীর প্রতি জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিশেষ দরদ রয়েছেন। তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রশাসককে পোকখালীর গোমাতলীতে সফর করানোর। এটা সম্ভব হলে অবকাঠামো খাতে বিশেষ আর্থিক বরাদ্ধের সুযোগ মিলতেও পারে। এরপর ও ২ ইউনিয়নের ভাগ্যে সামনে কি আছে আল্লাহ জানে!
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।