২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আ.লীগের চার কর্মী হত্যায় ২৩ জনের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চার আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালতে উপস্থিত ১৯ আসামি হলেন- মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার কাশু, জহির উদ্দিন মেম্বার, আবু কালাম, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই ও খোকন। পলাতক রয়েছে আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।

২০০২ সালের ১২ মার্চ বর্তমান আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক ও আওয়ামী লীগ কর্মী কবীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পরে নিহত বারেকের বাবা প্রাক্তন ইউপি সদস্য আজগর আলী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় গোপালদী ইউনিয়ন বিএনপির তৎকালীন সভাপতি আবুল বাশার কাশুকে।

তদন্ত শেষে পুলিশ ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা চলাকালীন সময়ে বাদী আজগর আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রফিকুল ইসলাম মামলার বাদী হন। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১৬  জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই  মামলার রায় ঘোষণা করে।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক সাক্ষী এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এখন দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এই মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার কাশু বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।