এমন বিরল সম্মান এর আগে আর কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার পাননি। এমনকি মনোনীত তালিকাতেও আসেননি। এবারই প্রথম শুধু মনোনীত তালিকায় নয়, পুরস্কারটা রীতিমত চিনিয়েই এনেছেন বাংলাদেশের বিস্ময় বালক কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ সালের আইসিসি বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাঁ-হাতি এই পেসার।
আইসিসি তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্ষসেরা নির্বাচনের জন্য যে সময়টা ধরা হয়, এর মধ্যে মোস্তাফিজ খেলেছেন তিনটি ওয়ানডে। এই তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৮ উইকেট। এবং এর মধ্যে খেলেছেন ১০টি টি-টোয়েন্টি। যার মধ্যে ১৯টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
এমন অসাধারণ একটি পুরস্কার জয়ের পর মোস্তাফিজ আইসিসি-ক্রিকেট ডটকমকে বলেন, ‘ক্যারিয়ারে সম্ভবত এখনও পর্যন্ত এটাই আমার সেরা প্রাপ্তি। এই পুরস্কার আমাকে আরও শক্তি ও সাহস যেগাবে। অবশ্যই এ পুরস্কার জয়ের কারণে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। বিশেষ করে বাংলাদেশের হয়ে এই প্রথম পুরস্কারটি জয়ের কারণে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের পর তার স্বীকৃতি মোস্তাফিজকে করেছে আরও বেশি আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারাটা সব সময়ই আকাঙ্খিত এবং আনন্দের। আমার জন্য এই স্বপ্ন সত্যি হয়ে এসেছে। আমি এ জন্য যারা আমাকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন, সেই সমর্থক, বন্ধু এবং সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আমি আরও বেশি আনন্দের উপলক্ষ বয়ে নিয়ে আসতে পারবো তাদের জন্য।’
উল্লেখ্য, আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুধু তাই নয়, আইসিসি টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ারও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক এবং আইসিসি টি-টোয়েন্টি পারফরমার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। এছাড়া সহযোগি দেশগুলোর মধ্যে আইসিসি অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।