আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসির) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠক বৈশ্বিক ক্রিকেট নিয়ে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথটা খুলে দেয়, সিদ্ধান্ত দেয় না। প্রত্যাশিতভাবেই বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আইসিসির সিইসি কমিটির সভায় বড় কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২১ ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সামনে প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারি। গত মার্চ মাস থেকেই সমস্ত আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট স্থগিত করে দিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ। বিপুল সংখ্যায় মানুষ এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। ভাইরাসের প্রতিরোধযুদ্ধে প্রায় সব দেশেই এখনও লকডাউন চলছে। তবে সিইসির সিদ্ধান্ত, পুরুষদের এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যথাসময়ে ধরে নিয়েই এগোবে আইসিসি। যদিও সবাই এ ব্যাপারে একমত যে, নিয়মিত করোনা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে, সম্ভব হলে প্রতি মাসে একবার করে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত জুনের শেষ সপ্তাহের আগে অন্তত হবে না বলে ইঙ্গিত করেছে ইএসপিএন-ক্রিকইনফো।
এই সভায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রতিনিধি জয় শাহ করোনা মহামারি ক্রিকেটের বর্ষপঞ্জি একেবারে ওলট-পালট করে দেওয়ায় স্থগিত থাকা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপটা একেবারেই বাতিল করার প্রস্তাব রেখেছেন। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় এ পর্যন্ত শীর্ষে থাকা ভারতের এই প্রস্তাবে সব সদস্য একমত হয়েছে যে ২০২৩ পর্যন্ত চলমান গোটা ভবিষ্যৎ সফর কর্মসূচিই (এফটিপি) সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে যাতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে বাতিল হওয়া ক্রিকেট সূচি পুনর্বিন্যাস করা যায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে আইসিসির প্রস্তাবিত বিশ্বকাপ সুপার লিগ নিয়েও সিদ্ধান্তটি হবে পরে।
বৈঠকে আইসিসির মেডিকেল কমিটির প্রধান ডা: পিটার হারকোর্ট সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে বলেই ঝুঁকিটা এখনও অনেক, কারণ কোভিড-১৯ সম্পর্কে আমাদের এখনও অনেক কিছু জানার বাকি। এজন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন হতে পারে।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন রবার্টস জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ধরে নিয়েই তার বোর্ড আইসিসি, আয়োজক কমিটি ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে চলেছে। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন অস্ট্রেলিয়া তা মেনে নেবে।
আইসিসির ১২টি সদস্য দেশের ও তিনটি সহযোগী সদস্য দেশের বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এই সভায় যুক্ত হয়েছিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনু সনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।