সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, `বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঊনত্রিশ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও ঘাতকদের দল শোকাবহ এই আগস্টেই জোট বেঁধেছিল। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য ও দেশকে পাকিস্তান বানাতেই ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা করিয়েছে বিএনপি—জামায়াত জোট সরকার। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।’
রোববার বিকালে শহীদ দৌলত ময়দানে ২১ আগস্ট ইতিহাসের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ নারকীয় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপি—জামাত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে হাওয়া ভবন ও বিএনপি—জামাত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়।’ তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয় প্রমাণ হয়ে যাবে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে কেন বলেন? প্রমাণ করতে হবে নির্বাচন দিয়ে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।’
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, সহ—সভাপতি এথিন রাখাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. তাপস রক্ষিত, ইউনুছ বাঙালি, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, সাবেক ছাত্রনেতা ফরহাদ ইকবাল, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফুল মাওলা, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, শাহেদ আলী শাহেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম সাদ্দাম হোসেন ও মারুফ আদনান।
সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর বলেন, ‘পঁচাত্তরের রক্তাক্ত ১৫ আগস্টের মতোই ২১ আগস্টের হামলার ব্লু—প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের পেছনে ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি—জামায়াত জোটের একাধিক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, কয়েক শীর্ষ জঙ্গী আর একাত্তরের পরাজিত দেশ পাকিস্তান। হামলায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের পাকিস্তানে ট্রেনিং দেয়া হয়। ট্রেনিংয়ের পর তাদেরকে আর্জেস গ্রেনেডও সরবরাহ করে পাকিস্তান। আর হামলা শেষে পাকিস্তান অনেক ঘাতকদের আশ্রয়ও দেয়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, ড. নুরুল আবছার, মিজানুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নেওয়াজ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মিজানুর রহমান, শুভ দত্ত বড়ুয়া, এবি ছিদ্দিক খোকন, এডভোকেট রিদুয়ান আলী, গিয়াস উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া খান, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আরমানুল আজিম, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ ৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদ, ৮নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন , ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি জহিরুল কাদের ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন কবির, ১০নং ওয়ার্ড সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সুমন, ১২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল হক চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম চৌধুরী, রুবেল, ফয়সাল হুদা, নুরুল ইসলাম বাদশা, আবদুস সাত্তার, সৈয়দ নুর, আনোয়ার, ইলিয়াস, আজিজ উদ্দীন, কাসেম আবেদিনসহ আরও অনেকে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।