প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো কেউ পরিকল্পন করে, বাংলাদেশের জনগণের সামনে উপস্থাপন করে নাই। তিনি ২০০৮ সালে জাতির সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষনা দিয়ে ছিলেন। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত করার ঘোষনা দিয়ে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হবে। তিনি বলেন, দেশপ্রেম এমনিতে সৃষ্টি হয় না। দেশকে দেশের নাগরিকের সামনে ভালো কিছু করে দেখাতে হয়। দেশের নবীন নাগরিকের সামনে দেশপ্রেম সৃষ্টি করা এবং দেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে হয়। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রামু বঙ্গবন্ধু উৎসবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একান্ত সহকারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসবের সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একান্ত সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যাদেরকে আমরা পরাজিত করেছিলাম। পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মম ভাবে যারা হত্যা করেছিলো। সেই পরাজিত শত্রু, পঁচাত্তরের খুনি গোষ্ঠি। পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল। শাসন করে ছিল। পঞ্চাশ বছরে তারা, ত্রিশ বছর শাসন করেছিলো। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড, একজন ব্যক্তির হত্যাকান্ড ছিলোনা। এটি ছিলো একটি আদর্শকে হত্যাকান্ড। একটি রাষ্ট্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র।
রামু স্টেডিয়ামের বঙ্গবন্ধু উৎসবের শেষ দিনে সভামঞ্চে বিশেষঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, রামু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, কক্সবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর প্রমুখ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সাইমুম সরওয়ার কমল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসবের আয়োজন করেছেন। আমি একজন নাগরিক হিসেবে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এটি বঙ্গবন্ধুর উৎসব নয়, এ উৎসব বাংলাদেশের উৎসব। তিনি বলেন, যে দেশের মানুষ, যে এলাকার মানুষ কনকনে শীতের মধ্য রাতে শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে। সে দেশে জাতির পিতার কখনও মৃত্যু হতে পারে না। আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুত্রে গাঁথা। যার কোন বিচ্যুতি নেই। বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার আপন মহিমায় বাঙালী জাতির কাছে ফিরে এসেছেন, জন্মশত বার্ষিকীতে।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমরা রাত জেগে জাতির পিতাকে স্মরণ করি। যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাছিনা। সেই সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতাকে নিয়ে কটুক্তি করার দুঃসাহস এখনও কেউ কেউ দেখায়। সেই শত্রুদেরও মনে রাখতে হবে। আমাদের রাজনীতির শত্রু, বাংলাদেশের শত্রু কারা। আমাদের আদর্শের শত্রু কারা। তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে আমরা সেই বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিকে এখনও নির্মোল করতে পারি নাই। এই কারণে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও আমাদের রাজনীতিতে আমাদের বক্তৃতায় বলতে হয়ে, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই স্বাধীন দেশে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সদস্য বিজন বড়ুয়া, কক্সবাজার জজ আদালতের পিপি এড. ফরিদুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইউনুচ বাঙালী, কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আ জ ম মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এড. জিয়া উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য ইসতিয়াক আহমেদ জয়, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক রোমেনা আকতার, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ নজুরুল ইসলাম, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।
রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া ও ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা সাবেক ফুটবলার পলক বড়ুয়া আপ্পু, জেলা ছাত্রলীগ সদস্য মঈন উদ্দীন, টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি সরওয়ার কামাল, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, রামু উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক বাবু, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, রেজাউল করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উৎসব মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার পরে বাংলাদেশ বেতারের সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলামের নির্দেশনায় ও নাট্যকর্মী তাপস মল্লিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে একক সংগীত পরিবেশন করেন, দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, পলক বড়ুয়া আপ্পু, ইসকান্দর মির্জা, নাজনিন সুলতানা জোনাকী, ধ্রুব রাসেল, শাহজাহান চৌধুরী, সাজু ও সামিরা সুলতানা। দলীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়, কক্সবাজারের রামুর ‘নব সৃজনি খেলাঘর’, ‘কোমলমতি শিশু নিকেতন’, ‘জ্ঞান অন্বেষণ পাঠাগার’ ও রামু উপজেলা ছাত্রলীগ। রাত সাড়ে তিটায় রামুতে অনুষ্ঠিত সাত দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু উৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ, রামুর যুগ্ম-মহাসচিব নীতিশ বড়ুয়া।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।