আজ (৬ নভেম্বর) কৃষক লীগের ১০ম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ১১টায় এ সম্মেলন শুরু হবে। উদ্বোধন করবেন কৃষক লীগের সাংগঠনিক নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাত বছর পর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা ভাবছেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচন করা হবে।
কৃষক লীগের এ সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগ এবং ২৯ নভেম্বর সমমনা সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কৃষক লীগের সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে কৃষকের কাচারি ঘরের আদলে। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সম্মেলনস্থলে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কৃষক লীগ। এ সম্মেলনে সাত হাজার কাউন্সিলর ও ৯ হাজার ডেলিগেট যোগ দেবেন। থাকবেন দু’জন বিদেশি অতিথিও। সম্মেলনের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার কৃষক লীগের সভামঞ্চটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ফুটে উঠবে গ্রামীণ পরিবেশ। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যখন মঞ্চে বসবেন তখন মনে হবে তিনি গ্রামের কোনও কৃষকের বাড়িতে বসে আছেন। ঘরটা করা হয়েছে প্লাস্টিকের টিন দিয়ে, যার ডানে-বামে জানালা আছে।
মঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল আকারের ছবি শোভা পাচ্ছে।
দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই।
কৃষক লীগের আজকের সম্মেলনে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। প্রথম সেশনে শোক প্রস্তাব, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যের পর খাবার বিরতির প্রাক্কালে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল তিনটায় শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশন থেকে কৃষক লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লেনদেন, পরিবার সদস্যদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, দলে অবদান, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যেই খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদেরই কৃষক লীগের শীর্ষ দুই পদে নির্বাচন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।