২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আ. লীগের বৈঠক

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ইস্যুতে আজ (বুধবার) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বঙ্গভবনের দরবার হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও মোহাম্মদ জমির; সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে। একারণে নতুন ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেন। আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই আলোচনার সমাপ্তি ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ আলোচনা শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি এ পর্যন্ত ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
বিএনপি বৈঠকে নতুন ইসি গঠনে একটি সার্চ কমিটি গঠন এবং ইসিকে শক্তিশালী করতে জন প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাব দেয়।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবে নতুন ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, নতুন আইন করা ছাড়া এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (কেএসজেএল) একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ইসি গঠনের প্রস্তাব করেছে। নতুন ইসিতে নারী প্রতিনিধি রাখারও তারা প্রস্তাব করেছে।
ওয়াকার্স পার্টি একটি সার্চ কমিটি ও ইসি গঠনে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ইসিতে কমপক্ষে দু’জন নারী রাখারও প্রস্তাব করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দিতে প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ইসির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানের ৫ সদস্যের পরিবর্তে আট সদস্যের ইসি গঠন এবং যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে।
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ইসিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লোকদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি ও ইসি গঠনে ১৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশানর নিয়োগ দিতে সংবিধানের আলোকে একটি নতুন আইন প্রণয়নের ও প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) একটি সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠনে ৫ দফা প্রস্তাব করেছে।
নতুন ইসি গঠনের জন্য বাংলাদেশ সাম্যবাদি দল (বিএসডি) রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রস্তাবের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দলীয় নেতা ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সমন্বয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (এনএপি) নতুন ইসি গঠনে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এতে নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোন আলোচনা না করেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নতুন আইন প্রনয়নসহ ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ইসি গঠনে একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন আইন প্রণয়নসহ তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে।
নতুন ইসি গঠনে গণফোরাম ৯ দফা প্রস্তাব, গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৮ দফা করে প্রস্তাব দিয়েছে।
বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ৩ দফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( আম্বিয়া) একটি সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠনে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্র: বাসস

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।