২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

আদালত থেকে বাসার পথে খালেদা

আদালত থেকে বাসার পথে খালেদা

দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা শেষে পুরান ঢাকার বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ আদালত থেকে বের হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখান থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে রওনা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে রবিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জামিন আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। এখান থেকে তিনি গুলশানের বাসায় যাবেন।’

জামিন শুনানিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আদালতকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদারতে হাজির হতে পারেননি। আজ (রবিবার) তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন আবেদন করেছেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে তার জামিন মঞ্জুর করতে আদালতকে অনুরোধ করছি।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানী ব্যক্তি। তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।’

এর আগে সকালে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবা আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। বেগম খালেদা জিয়া সকালে আদালতে হাজির হন।

এ দিন মামলা দুইটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় কাজী সলিমুল হক কামাল ও সরফুদ্দিন আহমেদেরও জামিন বাতিল করা হয়। আদালত জামিন বাতিলের সময় বিচারক বলেন, ‘এ মামলার ৬৩ কার্যদিবসের মধ্যে খালেদা জিয়া সাত দিন উপস্থিত ছিলেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে তার জামিন বাতিল করা হল।’

এ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হন। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ৯ নভেম্বর তিনি বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।