বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের সদস্য মো. সিরাজ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পৃথক তিন মামলারই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। বুধবার বিকালে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এর আদালতে হাজির করা হলে গ্রেফতারকৃত সিরাজ এই জবানবন্দি দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাহাড়ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.দস্তগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নির্দেশনায় ও অফিসার ইনচার্জের পরিচালনায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক (এসআই)মো. দস্তগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহমুদুল ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। এসময় দুর্ধর্ষ ডাকাত সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ওয়ান শুটার গান, ৬ রাউন্ড গুলি, ২টি দেশীয় রাম-দা, ২টি দেশীয় কিরিচ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সিরাজ বাহারছড়ার শীলখালী এলাকার মৃত ফরিদের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি অপহরণ চক্রের সাথে তার সখ্যতার কথা স্বীকার করেন। আলোচিত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান সহ ১০ জন কৃষক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাহাড়ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দস্তগীর হোসেন বলেন, অপহরণ রোধের পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান চলমান রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে অস্ত্র সহ সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সিরাজের বিরুদ্ধে পূর্বের দুইটি অপহরণ মামলা রয়েছে। নতুন করে একটি অস্ত্র মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে অপহরণ বাণিজ্য ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র তার বলে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ওই দিন রাতে তাকে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
তিনি বলেন, গেল এপ্রিল মাসে অপহরণে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।