জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত এ আদেশ দেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ধার্য দিন ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন।
আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের নতুন দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে পরবর্তী ধার্য দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকলে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করা হবে বলে আদেশে বলা হয়।
দুদকের দায়ের করা এই মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে রাজধানীর কাকরাইলে সুরাইয়া খানম নামে এক নারীর কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।