২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

রিমান্ডে সরল স্বীকারোক্তি

‘আমরা পেশাদার ছিনতাইকারী-তবে রেজা স্যারের ঘটনায় জড়িত নয়’

এএইচ সেলিম উল্লাহ:

‘স্যার আমরা পেশাদার ছিনতাইকারী’ তবে অ্যাডভোকেট রেজা স্যারকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা জড়িত নয়’। ১৬৪ ধারা মতে, আদালতে স্বীকারোক্তি না দিলেও পৃথক চার আসামি রিমান্ডকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এমন তথ্য দিয়েছে তারা।

চারদিন রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।চার আসামির দুইজন পূর্বের পরিচিত, অপর দুইজন একজন অন্যজনকে চিনে না।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিভাস কুমার সাহা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১ মার্চ কক্সবাজার শহরের ক্রাইম জোনখ্যাত উত্তরণ গৃহায়ণ সমিতি এলাকায় বাইপাস সড়কে যাত্রী বেশী একদল ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেন। তদন্ত কর্মকর্তার পৃথক আবেদনে আদালত চার আসামির মধ্যে একজনের একদিন, অন্যদের চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আলোকে তদন্ত কর্মকর্তা পৃথক ভাবে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদেই চার জনের মধ্যে তিনজন পেশাদার ছিনতাইকারী হিসাবে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা উপ-পরিদর্শক ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) বিভাস কুমার সাহা দাবি করেন, কক্সবাজার শহরের দক্ষিন ডিকুল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নুরুল হাসান (১৮), লারপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় সুলতান (২০), ঘোনারপাড়ার সাইফুল ইসলাম বাবু ওরপে কাওয়া বাবু (২২) পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ৪/৫ টি করে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নুরুল হাসান ও হৃদয় সুলতান একসঙ্গে ছিনতাইয়ের কাজ করে বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছেন। তারা তিনজনের কারও এনআইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন নেই।

অন্যদিকে পেশকার পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালু ভাই (২৭) এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা নেই। এমনকি পেশায় সে তিনি গ্রীল মিস্ত্রী বলে দাবি করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

একটি ছিনতাই সফল হলে সপ্তাহখানেক আরাম চলতে পারেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাকে স্বীকার করেছেন নুরুল হাসান, হৃদয় সুলতান ও কাওয়া বাবু। পুলিশের ঝামেলা এড়াতে সুযোগ বুঝে ছিনতাইয়ের কাজ করেন বলে তারা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ের মালামাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক বিক্রি করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তারা।

তদন্ত কর্মকর্তা বিভাস আরও জানিয়েছেন, ছিনতাইকারী নুরুল হাসান ও হৃদয় সুলতান অত্যান্ত কৌশলী। ছিনতাইয়ে পারদর্শী। এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের উপকন্ঠে দক্ষিন ডিকুল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নুরুল হাসানের বাবা মারা যান অনেক আগে। তার মা একজন হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে। তার নাম রাখা হয় হারুনুর রশিদ। পুলিশী ঝামেলা এড়াতে নরুল হাসান তার পূর্বের পিতার নাম গোপন করে ধরা পড়লে হারুনুর রশীদ নাম দেয়। যার কারনে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যা পড়েন।

প্রসঙ্গতঃ গত ১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী নিজ বাড়ি থেকে ফিরে কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এসে কলাতলী আসার জন্য একটি সিএনজিতে উঠেন তিনি। সিএনজির পেছনের সিটে আগে থেকেই ২ জন যাত্রী ছিল। সিএনজিটি টার্মিনাল থেকে কলাতলী যাওয়ার পথে উত্তরণ গৃহায়ণ সমিতির নিকটে আসলে চালক সিএনজিটি থামায়। সাথে সাথে সিএনজিতে আগে থেকেই থাকা দুই যাত্রী তাকে চুরি উঁচিয়ে জাপটে ধরে সব কেড়ে নিতে থাকে। এসময় তিনি ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তাঁর শরীরের সামনে নাভীর বাম পাশে ও পিঠের নীচে গুরুতর আহত হয়। ওই সময় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং একই সিএনজি নিয়ে ছিনতাইকারীরা ফিল্মি স্টাইলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সে ঘটনায় এখনো সঠিক কাউকে আটক করা যায়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।