বিশেষ প্রতিবেদক: ‘ইয়াবা কারবারিদের দমন করতে গিয়ে আমি কোন রকমের সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সন্মুখিন হইনা। আমার কাজ আমি চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক কারবারিরা ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। কোন জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতা আমার কাছে এ ধরণের কোন অবৈধ তদবির করার সাহসও পায় না।’
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের হিলটপ সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে উখিয়া-টেকনাফের পুলিশ কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদেরে নিয়ে মাদক বিরোধী সভায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কথাগুলো বলেন।
ওই সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যে কোন ধরনের তদবির-ভয়ভীতির উর্ধে উঠে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, মাদক একটি জাতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে। তাই মাদক নির্মুলে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মুলের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির কথা ঘোষনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা যে কোন ভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা দেয়ারও পরামর্শ দেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী এবং কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
সভায় কক্সবাজার জেলায় মাদকের ব্যবহার ও সহজলভ্যতা রোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনির সম্বন্নিত তৎপরতায় মাদকের ব্যবহার কমে এসেছে। মাদক কারবারিরা আত্মসমর্পণ করছে।
সভায় বিভিন্ন থানার ওসি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সকলে মাদক সেবন, ব্যবসা ও সরবরাহ বন্ধে সামাজিক ঐক্যমত্য গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।