পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলার ছাত্রী। তবে আমার স্বামী কিন্তু নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট ছিলেন। সেটুকু বলতে পারি।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী নেতা কিছু বিষয় তুলেছেন। যার দুই-তিনটার জবাব ওনাকে নিশ্চিত করতে চাই। আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা এত সহজ নয়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা একটি কমিটি করি। এখানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এমনকি আমেরিকায় একটি নিউক্লিয়ার প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরও পারমিশন নেই। তারা নিজেরাই এসে প্রকল্পের জায়গা দেখে গেছে।
আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে যে উদ্যোগটি নিয়েছিলাম মাঝখানে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কোনো কিছু হয়নি। ২০০৯ সালে এসে আবার আমরা উদ্যোগ নেই।
আমরা যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি, তা এখন আরো অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যের ব্যাপারেও রাশিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার কথা দিয়েছেন। আর এখন অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, এতে কোনোরকম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর বহু দেশে এরকম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে।
কারো নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু মানুষ আছে। কোনো কিছু নতুন করতে গেলেই নানারকম খুঁত ধরতে শুরু করে। কাজেই ওটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটুকু অত্যন্ত আমি বলতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে বাংলার ছাত্রী। আমি কোনো সায়েন্টিস্ট না। তবে আমার স্বামী কিন্তু নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট ছিলেন। সেটুকু বলতে পারি। আর আমাদের আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জিতেও আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে। অনেক পরিচিত লোক আছে এবং অনেকে আমাদের ভলান্টিয়ার সার্ভিসও দিচ্ছেন। যার মধ্যে অনেক বাঙালিও ওখানে আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সবসময় যোগাযোগ ও আলোচনা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।