২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের : ভারতীয় আদালত

ভারতের উত্তর প্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তিরস্কার এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ‘আমিষ খাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের। রাজ্য সরকার তাতে নিষেধাজ্ঞা বসাতে পারে না। ’‌
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মাংস ব্যবসায়ীদের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সেখানে মাংস বিক্রেতাদের হয়ে সওয়াল করেন লখনউ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক এপি শাহী এবং সঞ্জয় হারকৌলি।
তাঁরা বলেন, ‘‌মানুষ কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেটা মানুষকেই ঠিক করতে দিন। আমিষ খাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁদের। রাজ্য সরকার তা কেড়ে নিতে পারে না। বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করছেন করুন। তবে বৈধ কসাইখানাগুলি কী দোষ করেছে?‌ লাইসেন্সের পুননর্বীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে কেন?‌ নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদেরই বা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না কেন?‌ এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না রাজ্য সরকার। ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আবেদনকারীদের লাইসেন্স দিতে হবে। ’‌
আগামী ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। তারধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে।
মার্চ মাসের বিধানসভা ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। দায়িত্ব হাতে নিয়েই রাজ্যের সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। এতে বৈধ কসাইখানাগুলির ওপরও কোপ পড়ে। যোগী বাহিনীর দৌরাত্ম্যে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মাংস বিক্রেতারাও।
প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। মার্চ মাসের পর থেকে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদেরও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশ। প্রায় দু’‌ডজন আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার তাঁদের ফরেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের পাশাপাশি নতুন যাঁরা আবেদন করেছেন রাজ্য সরকারকে তাঁদেরও লাইসেন্স দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বহু কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছিল যোগী সরকার। আদালতের নির্দেশের পর সেই কসাইখানার মালিকরাও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্র : আজকাল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।