আর কত স্বজন হারালে, আর কত দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হলে, আর কত সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হলে কাঙ্ক্ষিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দেখা পাব বলে আক্ষেপ করতে দেখা গেছে কোটবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের। তারা জানান, কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড বিগ্রেড ষ্টেশনের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায় নি।
সূত্রে জানা গেছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গত ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উখিয়ায় সফরে এসেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উখিয়াবাসীর স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস উদ্বোধন করতে পারেননি। এ সময় উখিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের সময় উখিয়া ফায়ার সার্ভিসও উদ্বোধনের কথা ছিল।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ক্ষোভ করে বলেন, উখিয়া বাজার, মরিচ্যা বাজার, পালংখালী বাজারে অগ্নিকান্ডে ভয়াবহ ক্ষতির পর কোটবাজারে ও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো। উক্ত ঘটনা গুলোতে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবী করেন তারা। এছাড়া উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও চালু না হওয়ায় উখিয়ার প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জাফর আলম বলেন, ফায়ার সার্ভিস উখিয়ার মানুষের গণদাবী। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও ফায়ার সার্ভিস চালু না হওয়া রহস্যজনক।
উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন, অতি শীঘ্রই ফায়ার সার্ভিসে জনবল নিয়োগ করে চালুকরণের দাবী জানান।
ফায়ার সার্ভিস চালুকরণ গণদাবী স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ এক বছর আগে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ও চালু না হওয়ায় পর পর ৪ টি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয় নি। অতিশীঘ্রই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালুকরণে ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।