৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  নাফনদে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যু    ●  ধান চাষ করে নৌকায় চড়া উখিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা   ●  পরিবহন সমিতির নামে বদি শ্যালকের কোটি টাকা লুটপাট   ●  ‘আমি কোন গাড়িতে উঠেছিলাম সেটা আমি নিজেও জানতাম না’ -সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  চকরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে শিশুর মৃত্যু   ●  ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা’   ●  “পালংখালী ইউনিয়ন  জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত    ●  পেকুয়ায় সড়কে  শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথ অভিযান   ●  সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর মানববন্ধন ও স্মারক লিপি    ●  উখিয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ে এলজিইডি ব্যাপক কাজ করেছে-নির্বাহী প্রকৌশলী  মামুন খান

 
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা দৈনন্দিন জীবনযাপনে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সৃষ্ট এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর অধীনে বিভিন্ন সেবা সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন  করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৫ জুন)  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের হল রুমে প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন এলজিইডিইর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান।
তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে এলজিইডি ব্যাপক কাজ করেছে। স্থানীয়দের জন্য ২৬৮ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসনের কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৯০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। উখিয়া উপজেলায় নির্মিত ৪টি ব্রিজ, ৪৫টি বিদ্যালয় কাম দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার—মহেশখালী যোগাযোগের গেটে একটি আধুনিক জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি রাবারড্যামের কাজ করা হয়। এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার, স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস সেন্টার, ২৬৮টি বজ্রনিরোধক যন্ত্র সোলার বিদ্যুৎ প্যানেল, এনার্জি সেক্টরে ২৫০০টি সৌর সড়কবাতি, এনার্জি সাপ্লাইয়ের জন্য ৩৫টি ন্যানোগ্রিড স্থাপন করা হয়েছে, আরো ৩৫টির কাজ চলমান আছে।’
মামুন আরো খান বলেন, ‘এক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য আমরা বিসিসিপি’কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছি। বিসিসিপি’র মাধ্যমে নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ে বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছি।  উপকারভোগীরা এসব উন্নয়নের জন্য ভালো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যেহেতু কাজ গুলো তাদের জন্যই করা।’
সভায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।
এসময় এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান মুহিব ও বিসিসিপির জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক আবু হাসিব মোস্তফা জামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।