উখিয়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রত্না পালং ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ২৫০জন কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আসহাব উদ্দিন (ছাতা মার্কা) ১৪১ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল আলা চৌধুরী (আনারস মার্কা) ১০২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলমগীর (ফুটবল মার্কায়) ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছে আব্দুল গফুর (মাইক মার্কা) ১১৪ ভোট।
দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন উখিয়া-টেকনাফ সাংগঠনিক টিমের প্রধান শাহ আলম প্রকাশ রাজা শাহ আলম।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে উখিয়া উপজেলার কোটবাজার দক্ষিণ স্টেশনে প্রথম অধিবেশন সম্পন্ন হয়। এ সময় সাবেক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন উখিয়া-টেকনাফ সাংগঠনিক টিম প্রধান শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা।
একই দিনে বিকেল ৪ টায় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে ২৫০ জন কাউন্সিলার তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি পদে দুইজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থিতা ঘোষণা করলেও তৎমধ্যে দুইজনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে, সাবেক উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ছৈয়দ মুহাম্মদ নোমানের নামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকায় প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
প্রথম অধিবেশন রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আছহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সন্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, উখিয়া-টেকনাফ সাংগঠনিক টিমের প্রধান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম (প্রকাশ রাজা শাহ আলম), উখিয়া-টেকনাফ সাংগঠনিক টিমের উপ-প্রধান এডভোকেট রনজিত দাশ, সাংগঠনিক টিমের সদস্য সচিব ও জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এএইচ ইউনুছ বাঙ্গালি, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল মনসুর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার মির্জা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত তারাও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারবে না। তিনি সকল স্তরের নেতাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে চলার আহবান।
তিনি বলেন, যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ, তারা কখনো আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে না। আর যারা নেতাদের ডিঙ্গিয়ে আওয়ামীলীগকে আদালত পাড়ায় নিয়ে যাবেন, বুঝতে হবে তারা আওয়ামীলীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা খন্দকার মোস্তাকদের বংশধর। তিনি বলেন, সন্মেলনের অর্থ শুদ্ধি অভিযান। এই শুদ্ধি অভিযানে তাদেরকে আওয়ামীলীগ থেকে বিতাড়িত করার আহবান জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।